ধারাবাহিক তাফসির, পর্ব-১

এসো রমজানে কোরআনকে জানি

মুফতি আরিফ মাহমুদ হাবিবী
| আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৪ | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২১

কোরআন নাজিলের মাস পবিত্র রমজান এসেছে আমাদের দ্বারে। নিজের অন্তর পরিশুদ্ধ করে ঈমানকে তাজা করার মোক্ষম আমাদের সামনে। এ মাসে আমরা সকল পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে গড়ে তুলবো এটাই শিক্ষা। ঈমান, ইবাদাত ও আত্মশুদ্ধির জন্য কোরআন শেখা, কোরাআনের জ্ঞান শেখা, আল্লাহর বাণী উবলব্ধি করাও জরুরি।

সঙ্গত কারণে এ মহিমান্বিত কুরআনকে জানা আমাদের জন্য নেয়ামত বৈ কিছু নয়। আজ আমরা প্রথম পারার কিছু নির্বাচিত বিষয় নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। প্রিয় পাঠক, চলুন প্রথম পারার সূরা বাকারা অংশ থেকে আজ জানি...

সুরা বাকারা। এটি মাদানি সূরা। আয়াত সংখ্যা: ২৮৬। রুকু সংখ্যা: ৪০

সূরা বাকারা কোরআনের সবচেয়ে দীর্ঘ সূরা। এ সূরার অধিকাংশ আয়াতই মদিনায় হিজরতের পর প্রথম দিকে অবতীর্ণ হয়েছে।

আরবি বাকারা শব্দের অর্থ গাভী। যেহেতু এ সূরায় বাকারা শব্দটি এসেছে এবং এতে গাভী জবাই করার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে; তাই একে সূরাতুল বাকারা বলে নামকরণ করা হয়েছে।

ঘটনা হল, বনি ইসরাইলে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিল। কিন্তু এক দরিদ্র ভাতিজা ছাড়া তার কোনো ওয়ারিশ ছিল না। সেই ভাতিজা সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করে। এরপর রাতের অন্ধকারে তার লাশ অন্যের দরজার সামনে ফেলে রেখে ঘরের মালিককে খুনি বলে অভিযুক্ত করে। তারপর দুইপক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে বাদী-বিবাদীর লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

এরই মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তৎকালীন নবী হজরত মুসা আলাইহিস সালামের মাধ্যমে তাদেরকে একটি গাভী জবাই করে তার গোশতের কিছু অংশ মৃত ব্যক্তির শরীরে স্পর্শ করার নির্দেশ দেন। যার ফলে সে জীবিত হয়ে ওঠে এবং হত্যাকারীর নাম বলে দেয়। ঘটনাক্রমে বাদী-বিবাদীদের একপক্ষ মৃত্যু-পরবর্তী জীবন অস্বীকার করত। নিহত ব্যক্তির এই পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে শুধু হত্যাকারীর নামই জানা গেল না; বরং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের ব্যাপারেও এটি চাক্ষুষ দলিল হয়ে রইল। এ ছাড়াও মিসরিদের সাথে দীর্ঘকাল ওঠাবসা করায় বনি ইসরাইলের মনে গাভীর প্রতি এক ধরনের বিশ্বাস ও ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। গাভী জবাইয়ের বিধান দিয়ে তাদের বিশ্বাস খণ্ডন করা হয়েছে এবং তাদের এই ভালোবাসাকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রথম পারায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্থায়ী মুজিজা কোরআনুল কারিমের মাধ্যমে এ সূরার সূচনা হয়েছে। এটা তো আমরা সকলেই জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বস্তুগত ও অবস্তুগত বহু মুজিজা প্রদান করা হয়েছে; কিন্তু তার সবচেয়ে বড় মুজিজা হচ্ছে ইলম তথা জ্ঞান।

এ সূরার সূচনা হয়েছে আলিফ-লাম-মিম তথা হরফে মুকাত্তায়াত দ্বারা। সূচনার এই রীতি আরবদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ অভিনব। এর ফলে বাধ্য হয়ে তারা কোরআনের প্রতি মনোনিবেশ করে এবং তার আলোচনা শোনা শুরু করে। হরফে মুকাত্তায়াত দ্বারা যে সকল সূরার সূচনা হয়েছে, সেখানে কোরআনের শ্রেষ্ঠত্ব ও তার সত্যতারও আলোচনা এসেছে। এই কারণে এক দল আলেমের মতে, এসব হরফের মাধ্যমে কোরআন মানবরচিত হওয়ার দাবিদারদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোরআন যদি আসলেই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বানানো কথা হতো, তা হলে তোমরা সকাল-সন্ধ্যা যে ভাষায় কথা বলো, তার মাধ্যমেই এমন কোরআন নিয়ে এসো দেখি! ভাষা-সাহিত্যের ব্যুৎপত্তি ও পারদর্শিতার কারণে তো তোমরা গর্ব করে থাকো, যে কারণে তোমরা সকল অনারবকেই আজম (বোবা) আখ্যায়িত করে থাকো!

কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, না অতীতের কোনো কাফের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পেরেছে আর না আজকের কোনো কাফের। এবং কেয়ামত পর্যন্ত কেউ-ই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে না।

বিশ্বাসের দিক থেকে মানুষ তিন প্রকার

বিশ্বাসের দিক থেকে মানুষ তিন প্রকার। মুমিন, কাফের ও মুনাফিক। মুমিনের পাঁচটি গুণ রয়েছে।

১. ঈমান বিল গাইব। অর্থাৎ পঞ্চেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে যে সকল বিষয় অনুভব করা যায় না, তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। যেমন: জান্নাত-জাহান্নাম, হাশর, হিসাবনিকাশ ইত্যাদি।

২. ইকামাতে সালাত। অর্থাৎ সকল শর্ত এবং আদবের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ আদায় করা।

৩. জাকাত আদায়। সাধারণত কোরআনে কারীমে নামাজ ও জাকাতের কথা একসাথেই এসেছে। নামাজ হচ্ছে আল্লাহর হক আর জাকাত বান্দার হক। মানুষের ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণতা পেতে পারে না যতক্ষণ সে উভয় প্রকার হক আদায় না করে।

৪. পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের উপর যেসকল আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে, এবং হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর যে কিতাব নাজিল হয়েছে, তার উপর ঈমান আনা।

৫. আখেরাতের উপর বিশ্বাস স্থাপন, যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা চার আয়াতে মুমিনদের, দুই আয়াতে কাফেরদের এবং তেরো আয়াতে মুনাফিকদের আলোচনা করেছেন। এই তেরো আয়াতে মুনাফিকদের বারোটি বদ-অভ্যাসের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য এই বদ-অভ্যাস থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।

বদ-অভ্যাসগুলো এই মিথ্যা, ধোঁকা, অনুভূতিহীনতা, অন্তরের ব্যাধি- (হিংসা, অহংকার, লোভ প্রভৃতি) চক্রান্ত, প্রতারণা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, আল্লাহর বিধানের প্রতি অবজ্ঞা, পৃথিবীতে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি, মূর্খতা, ভ্রষ্টতা, ঈমান ও কুফরের মাঝে দোদুল্যমানতা, মুমিনদের প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রুপ।

আদম আলাইহিস সালামের ঘটনা

প্রথম পারার বা এ সূরার আরেকটি বিষয় হল, হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও হাওয়া আলাইহাস সালামের ঘটনা, যা ঘটেছিল অভিশপ্ত ইবলিসের সাথে। প্রকৃতপক্ষে এটা পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত এবং গোটা মানব-সভ্যতারই ঘটনা। এই ঘটনা হক ও বাতিল, কল্যাণ ও অনিষ্টের মধ্যকার চিরস্থায়ী লড়াইয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে।

এই ঘটনার মাধ্যমে হজরত আদম আলাইহিস সালামের মহান ব্যক্তিত্বের কথা জানা যায়। জানা যায়, তাকে পৃথিবীতে খেলাফত প্রদান করা হয়েছিল এবং এমন ইলম দেওয়া হয়েছিল, যা ফেরেশতাদেরও ছিল না। তারপর ফেরেশতাদের আদেশ করা হল, আদমকে সিজদা করার।

খেলাফতের মসনদে আসীন হওয়ায় সকল আদম-সন্তান এই ব্যাপারে আদিষ্ট যে, পৃথিবীতে তারা আল্লাহর বিধান কায়েম করবে এবং আল্লাহর মর্জি অনুযায়ী পৃথিবী চালাবে।

বনি ইসরাইলের আলোচনা

কোরআনুল কারীমের বহু স্থানে বনি ইসরাইলের আলোচনা এসেছে। কিন্তু সবচেয়ে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে সূরা বাকারায়। বরং প্রথম পারার প্রায় পুরোটা জুড়েই তাদের আলোচনা।

এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম আলোচনা করা হয়েছে যে, বনি ইসরাইলকে জাহেরি- বাতেনি, দীনি ও দুনিয়াবি অসংখ্য নেয়ামত প্রদান করা হয়েছিল। যেমন: তাদের বংশ থেকে বহু নবী-রাসূল জন্ম লাভ করেছেন। তাদেরকে পার্থিব সচ্ছলতা প্রদান করা হয়েছিল। তাওহিদ ও ঈমানের আকিদার নেয়ামত দেওয়া হয়েছিল। ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

তারা মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে মিসর থেকে হিজরত করেছিল। ফেরাউন তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছিল; কিন্তু বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, আর তাদের সামনেই অত্যাচারী ফেরাউনকে লোক- লশকরসুদ্ধ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

সিনাই (তিহ) মরুভূমিতে যখন তারা সহায়-সম্বলহীন ছিল তখন তাদের আহারের জন্য মান্না ও সালওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছায়ার জন্য শীতল মেঘের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পান করার জন্য তাদের পানির প্রয়োজন ছিল, তাই পাথর থেকে বারোটি ঝরনা প্রবাহিত করা হয়েছে।

এরপর বলা হয়েছে, তারা এসব নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করেনি; বরং ক্রমেই নেয়ামত অস্বীকারের গুনাহে মত্ত হয়েছিল। তারা সত্য গোপন করেছে। গোবৎসকে ইলাহ বানিয়েছে, সিনাই (তিহ) মরুভূমিতে তারা অকৃতজ্ঞতা এবং লোভ-লালসায় ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। বিনয়ের সাথে প্রবেশের হুকুম দেওয়া সত্ত্বেও তারা আরিহা শহরে দম্ভভরে প্রবেশ করেছে। তারা নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। তাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেছে। তারা শব্দ ও অর্থ উভয় দিক থেকেই আল্লাহর কালামে বিকৃতি করেছে। শরিয়তের কিছু বিধানের উপর ঈমান এনেছে আর কিছু অস্বীকার করেছে। তারা ছিল হিংসা- বিদ্বেষের ব্যাধিতে আক্রান্ত। পার্থিব জীবনের প্রতি ছিল তাদের সীমাহীন আকর্ষণ। নৈকট্যভাজন ফেরেশতাদের প্রতি তারা বিরক্ত ছিল।

তারা জাদু-টোনার প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। তারা এমন এমন বিদ্যা-মন্ত্র জানত, যার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ ঘটাতে পারত। আর এতে অবৈধ প্রেম-প্রীতির রাস্তা খুলে যেত।

জান্নাত লাভের হাস্যকর আশা

এত পাপাচার সত্ত্বেও তারা নিজেদের মনে করত জান্নাতের একমাত্র ঠিকাদার। তারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলত, জান্নাতে শুধু তারাই যাবে, যারা ইহুদি হবে। খ্রিষ্টানরাও অনুরূপ দাবি করত। উভয় দলই দাবি করত যে, আমরাই সত্যের উপর আছি এবং আমাদের বিপরীত লোকদের নিকট কোনো দলিল-প্রমাণ নেই (ভেবে দেখা দরকার বনি ইসরাইলের এসব বদ-অভ্যাসের কোনোটি আমাদের মধ্যে আছে কি না)।

ইবরাহিম আলাইহিস সালামের পরীক্ষা ও দোয়া

ইহুদিদের নেয়ামত প্রদান এবং তাদের সেসব নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতার বিস্তর আলোচনার পর হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের আলোচনা করা হয়েছে, যার মহান ব্যক্তিত্বের বিষয়টি ইহুদি-খ্রিষ্টান উভয় সম্প্রদায়ই স্বীকার করে থাকে।

বরং গর্বের সাথে তারা নিজেদেরকে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করে থাকে। অথচ এই দাবিতে সত্যবাদী হলে অবশ্যই তারা আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করত।

আল্লাহ তায়ালা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে বিভিন্ন প্রকার বিপদ ও পরীক্ষায় নিপতিত করেছিলেন। আর তিনি সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। মূর্তিপূজার কারণে পিতার প্রতি অসন্তুষ্টি, নিজ সম্প্রদায়ের সাথে দ্বন্দ্ব, নমরুদের সাথে সংলাপ, আগুনে নিক্ষেপ, মাতৃভূমি থেকে হিজরত, পানি ও তরুলতাহীন বিজন মরুভূমিতে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে আসা, প্রাণপ্রিয় সন্তানকে নিজ হাতে কোরবান করতে উদ্যোগী হওয়া সকল ক্ষেত্রেই তিনি দৃঢ় ও অবিচল ছিলেন। কোথাও সামান্য বিচ্যুতি ঘটেনি। এ দৃঢ়তার কারণেই তার দোয়া কবুল হয়েছে। মক্কা এক নিরাপদ শহরে পরিণত হয়েছে এবং এর অধিবাসীদের দান করা হয়েছে ফল-ফলাদির রিজিক।

হজরত ইবরাহিম আলাইহি সালামের সবচেয়ে বড় দোয়াটিও কবুল করা হয়েছে, যার কারণে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা কুরাইশ বংশে পাঠিয়েছেন।

মিল্লাতে ইবরাহিমি থেকে যারা বিমুখতা অবলম্বন করবে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের উত্তম বিষয়াদি বর্ণনা করার পর বলা হয়েছে, মিল্লাতে ইবরাহিমি থেকে শুধু সেই ব্যক্তি বিমুখ হতে পারে, যে দুর্ভাগা, বোকা ও প্রবৃত্তির গোলাম।

ইহুদি-খ্রিষ্টানরা নিজেদের ইবরাহিম আলাইহিস সালামের প্রতি সম্পৃক্ত করত। কিন্তু তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস ছিল যে, হানাফিয়্যাত অনুসরণের মধ্যে কোনো মুক্তি নেই; বরং কেবল ইহুদিবাদ ও খ্রিষ্টবাদ অনুসরণের মধ্যেই মুক্তি। আল্লাহ তায়ালা নবীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আপনি তাদের হানাফিয়্যাত তথা ইসলামের দিকে দাওয়াত দিন, যা ছিল সকল নবীর ধর্ম। যদি তারা আপনার দাওয়াত কবুল করে তা হলে তারা হেদায়েত পেয়ে যাবে আর যদি প্রত্যাখ্যান করে তা হলে সেটা হবে জেদ ও হঠকারিতাবশত ভিত্তিহীন, ভ্রান্ত অবস্থান। আপনি তাদের এই হঠকারিতার কোনো পরোয়া করবেন না। আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের বিচার করবেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেভাবে ঈমান এনেছো, ইহুদি-খ্রিষ্টানরা যদি সেভাবে ঈমান আনে তা হলে তারা হেদায়েত পেয়ে যাবে। আর যদি তারা বিমুখ হয়ে রয় তা হলে এ কারণে আশ্চর্য হবে না। কেননা হঠকারিতাই তাদের অভ্যাস। যদি তারা অনিষ্টের প্রয়াস চালায় তা হলে শীঘ্রই আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। তিনি উত্তম শ্রবণকারী এবং সর্বজ্ঞাত।’ (১৩৭)

চলবে, ইনশাআল্লাহ....

লেখক: মুফতি আরিফ মাহমুদ হাবিবী, খতীব, বায়তুল আমান জামে মসজিদ, মিরপুর-০১।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :