জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নোয়াখালীর রাজু, পরিবারে কান্নার রোল

দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে জিম্মি ২৩ নাবিকের একজন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদ আনারুল হক রাজু (২৯)।
আনারুল হক রাজু ওই উপজেলার ৬ নম্বর রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট রাজু।
তিনি ওই জাহাজটিতে ‘এবি’ (অ্যাবল সীমেন) হিসেবে কর্মরত আছেন।
রাজুর ‘মা’ দৌলত আরা বেগম বলেন, গত ৮ বছর যাবত জাহাজে এবি হিসেবে কর্মরত আছে রাজু। সর্বশেষ প্রায় ৪ মাস আগে সে বাড়িতে এসেছিল। আমার ঘরটি ভাঙা ছিল, রাজু এখন পাকা ঘর করতেছে, ঘরের কাজ শেষ হলে তাকে বিয়ে করাবো। আমরা মেয়েও দেখতেছি। কিন্তু কালকে খবর পেলাম আমার রাজুসহ ২৩ জনকে তাদের জাহাজ থেকে ডাকাতরা নিয়ে গেছে, এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
রাজুর পরিবারের স্বজনরা জানান, তাদেরকে জাহাজের একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়েছে। রাতে তাদের সেহরি খাবার জন্য দিয়েছে দস্যুরা। ওইসময় সে হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কল দিয়ে এসব কথা বলেছিল। হঠাৎ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাজুসহ সকল অপহৃতদের জীবিত উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানিয়েছেন রাজুর পরিবার।
রাজুর বড় ভাই জিয়াউল রনি বলেন, বাড়ি থেকে যাওয়ার পর গত নভেম্বরে সে সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে উঠেছিল। গতকাল সে আমার মোবাইলে একটি মেসেজ করে যেখানে লেখা ছিল ‘সোমালিয়ান পাইরেটস অনবোর্ড, বাঁচি থাকলে দেখা হবে, দোয়া কইরেন..’
এদিকে অপহৃত ওই জাহাজটিতে মোহাম্মদ সালেহ আহম্মদ নামের নোয়াখালীর আরও একজন রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার বাড়ি জেলার সেনবাগ উপজেলায় জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি।’
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।
(ঢাকা টাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন