রেকর্ড পরিমাণ ভোটে জয় পেলেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫| আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:১৭
অ- অ+

বিরোধীদের কেউ জেলে, কেউ দেশের বাইরে, কারও মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভ্লাদিমির পুতিনই পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, তা সকলেরই জানা ছিল। দেখার ছিল, তিনি কত শতাংশ ভোট পান। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গেল, রেকর্ড প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় ফিরলেন পুতিন।

গত তিনদিন ধরে ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছে রাশিয়ায়। এবার ভোটের হার ৭৪ দশমিক ২২ শতাংশ ছিল বলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৫ শতাংশ।

রবিবার সবচেয়ে পশ্চিমের এলাকা কালিনিনগ্রাদে ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে দেশের জাতীয় গণমাধ্যম। সেখানেই দেখা গেছে, ৭১ বছরের পুতিন ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন।

ফলে এ নির্বাচনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে জোসেফ স্তালিনের চেয়েও বেশি ভোটে ক্ষমতার সিংহাসনে বসবেন পুতিন। শুধু তা-ই নয়, টানা পাঁচবার দেশের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি হবেন গত ২০০ বছরে সবচেয়ে বেশি ধরে রাজত্ব করা রাশিয়ার শাসক। এক্ষেত্রেও তিনি স্তালিনের রেকর্ড ভাঙলেন।

এদিকে নির্বাচন-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে উপেক্ষা করার এবং ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্তের প্রতিফলন হিসাবে এই ফলাফলটি তুলে ধরেন।

সোমবার ভোরে নিজের প্রচারণা সদর দপ্তর থেকে পুতিন এক ভাষণে বলেন, ‘কে বা কতটা তারা আমাদের ভয় দেখাতে চায়, কে বা কতটা তারা আমাদের দমন করতে চায়, আমাদের সংকল্প, আমাদের চেতনা - ইতিহাসে কেউই এমন কিছুতে সফল হতে পারেনি।’

পশ্চিমাদের সতর্ক করে পুতিন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার সংঘর্ষ শুরু হলে তা পরিণত হবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে। কিন্তু এমন দৃশ্য কেউ দেখতে চায় না।’

প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে ছিলেন পুতিন। পুরোপুরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। পুতিন অবশ্য যুদ্ধ নয়, একে অভিযান বলে দাবি করেছিলেন। সেই যুদ্ধ এখনো চলছে। তারই মধ্যে নির্বাচন হলো। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ পুতিনের পাশে কতটা দাঁড়াবেন, তা নিয়ে বিবিধ আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই নির্বাচনের মাধ্যমে পুতিন দুইটি বিষয় প্রমাণ করতে চেয়েছেন। এক, দেশের মানুষের সমর্থন তার প্রতি আছে এবং দুই, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখানো, রাশিয়ার জনগণ তাকে এখনো সমর্থন করছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি অবশ্য রাশিয়ার এই ভোটকে ‘কারচুপির ভোট’ বলে উল্লেখ করেছেন। বস্তুত, ভোট চলাকালীনও রাশিয়ার বেশ কিছু এলাকায় ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়েছে, এই নির্বাচন ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ বা অবাধ ও নিরপেক্ষ নয়। বিরোধীদের জেলে ঢোকানো, দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে নাভালনির মতো বিরোধীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। পুতিনের বিরুদ্ধে যারা এবারের ভোটে লড়াই করেছেন, তারাও কার্যত নির্বাচনি বক্তৃতায় পুতিনকে সমর্থন করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়চে ভেলে

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকা-১৪: এস এ খালেকের উত্তরাধিকার সাজুকেই বিএনপির নির্ভরযোগ্য প্রার্থী ভাবছেন স্থানীয়রা
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ডাকাতি হওয়া বিপুল পরিমাণ সৌদি রিয়ালসহ ৭ জন গ্রেপ্তার
ডেঙ্গুতে আরও ১জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৫৮
জুনে ১৩৫টি মোবাইল উদ্ধার করেছে ১২ এপিবিএন, মালিকদের কাছে হস্তান্তর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা