ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫২

ফেনী সরকারি কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গণইফতার কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে ১০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- ফেনী কলেজের বিবিএ শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান, বিএসসির সাইফুল ইসলাম ও এমরান হোসেন এবং গণিত বিভাগের আবদুল মোহাইমিন আজিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের প্রতিবাদে সোমবার ফেনী কলেজ আঙ্গিনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী তৎসংলগ্ন ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে আসর নামাজ শেষে শিক্ষার্থীরা ইফতারের জন্য জড়ো হতে থাকেন। খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিবের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জড়ো হওয়ার কারণ জানতে চান।

এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে যান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজছাত্র সংসদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ তপু। তখন ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিমকে কলেজের একটি কক্ষে আটকে রেখে অন্যদের বের করে দেওয়া হয়। ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটে এলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আহত শিক্ষার্থী আলী আহাম্মদ ফোরকান বলেন, ছাত্রলীগ নেতাদের বাধায় ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। তাদের হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

মারধরের শিকার আবদুল মোহাইমিন আজিম জানান, ইফতারে অংশ নিতে এলে তাদের ব্যাট-স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখা রাখা হয়। আধাঘণ্টা পর ছাড়া হয়।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিব বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজে ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে ছাত্রশিবির। ফেসবুকে গণইফতার নামে একটি আয়োজন দেখতে পাই। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তারা জড়ো হচ্ছেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তাদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অরাজকতা করতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গণইফতারের আয়োজন করে ছাত্রশিবির। বিষয়টি কলেজ প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের কেউ জানতো না। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।’ তবে সেখানে কাউকে পেটানো হয়নি বলে দাবি তার।

ফেনীর পুলিশ সুপার মো.জাকির হাসান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন বলে জেনেছি। ঝামেলার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে পায়নি। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস১৯মার্চ/প্রতিনিধি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :