প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রবাসী আফসার মোল্লার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এই রায় দেন।
এসময় জামিনে মুক্ত আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওবায়দুর মোল্যা ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পশ্চিম ভাটদী গ্রামের ওয়াহেদ মোল্যার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে বোয়ালমারীর পশ্চিম ভাটদী গ্রামের মৃত কাদের মোল্যার ছেলে আফসার মোল্যার সাথে পার্শ্ববর্তী মধুখালী উপজেলার গন্ধখালী গ্রামের জলিল মুন্সীর মেয়ে মনিরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১১ ও ৮ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
জীবিকার তাগিদে মনিরার স্বামী আফসার মোল্যা সৌদিতে প্রবাসী। এই সুযোগে তার স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশী ওবায়দুরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর মনিরা বেগম ওবায়দুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
তবে মনিরাকে বিয়ে না করে তাকে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রাতে মনিরাকে স্বামী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর গম খেতের মধ্যে তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায় খুনি। ঘটনার ৪ দিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে প্রথমে একটি নিখোঁজ জিডি ও লাশ উদ্ধারের পরে ওবায়দুর সহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমালী থানার এসআই আমিনুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে পরকীয়া প্রেমিক ওবায়দুর মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ ওবায়দুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওবায়দুর মোল্যা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে মনিরা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এরপর তিনি জামিনে বেরিয়ে আসে কারাগার থেকে।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. সানোয়ার হোসেন রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক শিহাবুল ইসলাম দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
(ঢাকা টাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)