দিনাজপুরে চালের বাজার ফের অস্থির, কেজিতে বেড়েছে ৪-৫ টাকা

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

দেশের খাদ্যভাণ্ডার খ্যাত দিনাজপুরে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪-৫ টাকা।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চাল ৬৫-৬৬ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। ৪৫ টাকা কেজি দরের গুটি স্বর্ণা চাল বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ২৮ চাল এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৪ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। ২৯ চালের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৫২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়।

দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় চালের বাজার বাহাদুর বাজার এন মার্কেটে চালের বাজারে কেজিতে বেড়েছে থেকে টাকা। ২৫ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাতে দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

পাইকারি চাল ব্যবসায়ী এরশাদ আলী জানান, 'মিল গেট থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।'

ব্যবসায়ী আশরাফ আলী জানান, ‘দিনাজপুরে চালের দাম একবার বাড়লে আর কখনোই কমে না। হঠাৎ বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আমাদের করার কিছু নেই।'

ব্যবসায়ী মোর্শেদ জানান, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে চালের বিক্রি অনেক কমে গেছে।

চাল বিক্রেতা রঞ্জিত কুন্ডু জানান, সুগন্ধি জাতের চাল ব্যতীত সব ধরনের চালের দাম মিল গেইটেই বেশি। বাজারে ধানের সংকটের কারণে সব মিল চাহিদা মতো চালও দিতে পারছে না। দাম বাড়লেও বাজারে চালের ক্রেতা কম বলে জানান এই চাল বিক্রেতা।

বাজার মনিটরিং না থাকায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। চাল কিনতে আসা, মোজাম্মেল জানান, 'ভাই দিন আগে যে চাল কিনেছি ৬৫ টাকা কেজি তা আজ কিনলাম ৭০ টাকা দরে। মানুষের বাঁচার দরকার নেই। না খেয়ে মরাই ভালো।'

শ্রমিক ইউসুফ আলী জানান, ‘সারাদিন অটো চালিয়ে যা আয় হয় তা চাল আর সামান্য তরিতরকারি কিনতেই চলে যায়। ভালো কিছু মুখে জোটে না। রমজান মাসে আবার বেড়ে গেল চালের দাম। আমাদের আর কী করণীয় আছে। বেঁচে থাকাটাই এখন কষ্টের।'

বিষয়ে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আছিয়া অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামিম বলেন, দিনাজপুরের হাটবাজারে ধানের সরবরাহ নেই। মিল মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। সামনে ইরি ধান উঠলে চালের দাম কিছুটা কমবে। ধান না উঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ হাসকিং মিল মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি সহিদুল রহমান পাটোয়ারী মোহন জানান, ‘ধানের সংকট এবং বেশি দামে তাদের ধান কিনতে হচ্ছে। ধানের অভাবে অনেক মিলে উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। ধানের বাজার কম হলে চালের দামও কমবে। চালের দাম নির্ভর করে ধানের দামের উপর।'

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা গেলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে এমন অভিমত করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

জেলার যে সমস্ত মিল মালিক মজুদার রয়েছেন। তাদের গুদামে অভিযান চালালে বাজার স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই মন্তব্য ভোক্তাদের।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :