দশ বছরে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু, বেশিরভাগই সাগরে ডুবে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৪ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬
ফাইল ছবি

গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৬৪ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সাগরের পানিতে ডুবে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইওএম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ভূমধ্যসাগরেই ডুবে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৭ হাজার অভিবাসী। কারণ উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপের দক্ষিণে পৌঁছানোর জন্য এই ভূমধ্যসাগরকে গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহার করে মানবপাচারকারীরা।

আইওএম বলেছে, তারা যে সংখ্যা উপস্থাপন করেছে তা প্রকৃত সংখ্যার ভগ্নাংশ মাত্র। বার্লিনে আইওএমের ডাটা এনালিস্ট আঁন্দ্রে গারসিয়া বোরজা বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর হলো চরম ভয়াবহ এলাকা। এই পথে ভ্রমণ চরমমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ।’ তবে এই অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে বড় অংশে তীব্র পর্যবেক্ষণ আরও প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর যে সংখ্যা পাওয়া গেছে তা হয়তো বাস্তব সংখ্যার কাছাকাছি। কিন্তু অন্য অঞ্চল, যেমন সাহারা মরুভূমির মতো অঞ্চলগুলো পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। এসব স্থানে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া আরও কঠিন।

আইওএম বলেছে, যেসব মানুষ এই পথে নিখোঁজ হয়েছেন তার প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অর্ধেক মৃত্যুর বিষয়ে মৃত ব্যক্তির লিঙ্গ বা বয়স নির্ধারণ করতে পারেনি আইওএম। তবুও যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ যুদ্ধকবলিত দেশগুলোর অথবা বৃহৎ সংখ্যক শরণার্থী। কোনো রকম নিরাপত্তা ছাড়া এসব মানুষ যুদ্ধকবলিত এলাকা থেকে পালাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে তারা কী নির্মমতার মুখোমুখি।

২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে অভিবাসন রুটে মারা গেছেন কমপক্ষে ৮৫০০ মানুষ। এক দশক আগে আইওএম ডাটা সংগ্রহ শুরু করে। তখন থেকে এটাই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর। এখন পর্যন্ত এ বছর যে পরিমাণ মানুষ এভাবে মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা কম উদ্বেগের নয়।

চলতি বছর ২০২৩ সালের তুলনায় ভূমধ্যসাগরে আগত অভিবাসীর সংখ্যা কমলেও মৃতুর সংখ্যা আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী।

আইওএম বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবতার নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে তল্লাশি এবং উদ্ধার সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। যাতে দুর্দশাগ্রস্ত অভিবাসীদের আরও বেশি সহায়তা প্রদান করা যায়। এর মধ্য দিয়ে অভিবাসীদের মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

সূত্র: এএফপি

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :