সরাইলে শেষ হলো দিনব্যাপী বুড্ডা পঞ্চবটির মেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শেষ হয়েছে দিনব্যাপী বুড্ডা পঞ্চবটির মেলা।
শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা তিতাস নদীর পাড়ে পঞ্চবটি চত্বরে বসে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা। চৈত্র মাসে বারনী স্নানকে ঘিরে জমে ওঠে এই মেলা।
প্রতিবছরের মতো শনিবার সকাল থেকেই এলাকার নানা বয়সি ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ গ্রামীণ জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য আসতে থাকে মেলায়।
দর্শনার্থী নারীরা জানান, তারা প্রতিবছর নিজেদের ব্যবহারের জন্য কসমেটিকস ও ইমিটেশনের গয়না কেনেন এই মেলা থেকে। এবারও এসেছেন।
মেলায় স্থান পায় ছোটদের খেলনা সামগ্রী আর প্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রী। বসে জিলাপি, বাতাস ও মিষ্টান্নের দোকান। এসব দোকানে ভিড় থাকে শিশুদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সি মানুষ। স্থানীয়রা যুগ যুগ ধরে উৎসবমুখর পরিবেশে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি উপভোগ করে থাকে।
মেলাটি দেড়শ বছরের ঐতিহ্য হলেও বর্তমানে আয়োজক কমিটি সক্রিয় না থাকায় ৭/৮ বছর যাবৎ আগের মতো জম জমাট হয় না। একসময় পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকেও লোকজনের আগমন ঘটতো।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. অলি আহাদ জানিয়েছেন, এটি একসময় লোকজনের পদভারে মুখরিত হতো। বর্তমানে লোক সমাগম আগের মতো হয় না।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট তপন কুমার দাস বলেন এই গ্রাম্য মেলাটির প্রচলন দেড়শ বছর আগে হয়েছে। বারনী স্নানের দিন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তীর্থস্থান হিসেবে এখানে আসেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন মেলার প্রচলন করলেও সকল ধর্মের লোকজনের আগমন ঘটে এ মেলায়। মেলার পার্শ্ববর্তী তিতাস নদীতে বারনী স্নান শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পুজো দিয়ে থাকে পঞ্চবটিতে।
মেলায় আগত দর্শনার্থী স্থানীয় বাসিন্দা শামীম মিয়া, নয়ন দাস গুপ্ত, পঙ্কজ দাস ও পাপন চন্দ্র দাস জানান, ছোট বেলায় এই মেলাটি যতটা উৎসব মুখর দেখেছি সেটি এখন আর নেই। লোকজ ঐতিহ্যের অংশ বুড্ডা পঞ্চবটির মেলাটিকে আগের মতো জমজমাট দেখতে চান তারা।
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন