গল্প

সাইকেল

সিরাজউদ্দিন আহমেদ
 | প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১১

তমিজ মোল্লার জ্বর আজ আবার বেড়েছে এই গরমে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে তাহের ঘাড় ফিরিয়ে বাবাকে একবার দেখে নিল ঘরের দেওয়ালে ঝুলানো আয়নায় যত্নের সঙ্গে টেরি কাটছে তাকে এখনই বেরুতে হবে যত তাড়াতাড়ি দোকান খুলতে পারবে ততই মঙ্গল সকাল বেলার বাঁধা খদ্দেরগুলি ধরতে পারে তার অপেক্ষায় খদ্দের তো আর বসে থাকবে না অন্য দোকানে ভিড়ে যাবে

ঘর থেকে তাহের হাঁক দিল, মা, হয়েছে? আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে

তমিজের দিকে চোখ পড়া মাত্র তাহেরের অন্তর কেঁপে উঠল দুচোখ অর্ধনমিত, মুখ আধো হা, ঠোঁট বেয়ে লালা ঝরছে মুখের উপর একটি মাছি উড়ছে বাবা কি মরে গেছে? ভয়ে ছুটে গেল

বাবা... বাবা...

তমিজ মোল্লা লাল চোখ মেলে তাকাল, কী হয়েছে?

তোমার শরীর কি খুব খারাপ?

চোখে দেখো না? ভালো মানুষ কি বিছানায় সাতদিন শুয়ে থাকে?

ডাক্তার দেখাও না কেন? কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকলে কি অসুখ সারবে?

টাকা দে ডাক্তার দেখাই

হাসপাতালে যাও হাসপাতালে টাকা লাগে না

হাসপাতালে আমারে নিয়ে যাবে কে? তোর যখন এত দরদ তুই আমারে হাসপাতালে নিয়া যা

আমি তোমারে হাসপাতালে নিয়া গেলে দোকান খুলবে কে? দোকান বন্ধ থাকলে দুইবেলা যে খাবার পাও তাও বন্ধ হয়ে যাবে

কথাটা সত্যি বাজারে টঙের মুদি দোকান আর পুত্র তাহের তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা

দোকানটা পেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি এলাকার ক্ষমতাসীন দলের পাতিনেতা, দালাল, থানা-পুলিশ সবাইকে সন্তুষ্ট করে বাজারে সরকারি জায়গায় দোকান বসাতে পেরেছে দোকানটা থাকায় বস্তিতে ঘর আর দুবেলা খাবার জুটছে

ঘরে ঢোকার মুখে এককোণে তমিজ তার সাইকেলটা রেখেছে নীরবে অন্ধকারে পড়ে আছে কেউ টের পায় না কারো চোখেও পড়ে না ঘরে একটি মাত্র ষাট পাওয়ারের লাইট জ্বলে লাইটের আলো সাইকেল অবধি পৌঁছায় না চোখের সামনে বসবাস, তব্ওু অনেক সময় ঘরের মানুষজন সাইকেলের অস্তিত্ব ভুলে যায় প্রকৃতির নিয়মই এই, অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে মনে রাখতে নেই

তমিজের ভুলটা এখানে, সে মনে রেখেছে সাইকেলটির কোনো ব্যবহার নেই ভবিষ্যতে কোনো কাজে আসবে না কোন আহাম্মক এমন জিনিস ঘরে রাখে? একটা মাত্র ঘরে তিনজন মানুষের বসবাস তৈজসপত্রে ঘর ঠাসাঠাসি এর মাঝে নির্লজ্জের মতো ঘরের এককোণ দখল করে সাইকেলটি দাঁড়িয়ে আছে

প্রথম প্রতিবাদ এল তাহেরের কাছ থেকে, আমাদের নিজেদেরই থাকার জায়গা হয় না, তুমি ঘরে সাইকেল ঢুকাচ্ছো!

কতটুকু আর জায়গা নেবে বল এক কোণে পড়ে থাকবে ছোটোবেলার সেই গল্পের কথা মনে নেই, যদি হও সুজন এক পাতায় ছজন মিলেমিশে থাকতে শিখ

তাহের বলল, তুমি এমনভাবে কথা বলছো যেন সাইকেল না, আমার ছোটো ভাই

তমিজ খুশিতে হাসলো, মন্দ বলিসনি ভাই- তো জানিস তো আমার বাবার কেনা সাইকেল বাবা চালিয়েছে দশ বছর আমার সঙ্গে আছে চল্লিশ বছর আমাদের পরিবারে কত বছর ধরে আছে কত ঘটনা কত ইতিহাসের সাক্ষী এই সাইকেল

তাহের বলল, মানলাম তোমার কথা সাইকেলটি নিশ্চয়ই তোমার বাবার চেয়ে প্রিয় না দাদার বয়স হয়েছিল, মারা গেছে কবর দিয়েছো সাইকেলটি বুড়ো হয়েছে, কাজে লাগে না কবর দাও ঘরে রাখার কোনো অর্থ হয় না

রাত্রি গভীর হয় ঘরের মানুষ বস্তির মানুষ সকলে ঘুমিয়ে পড়েছে তমিজের চোখে ঘুম আসে না তাহেরের কথাগুলি মস্তিষ্কের কোষে ঘুরপাক খাচ্ছে জানালা দিয়ে চাঁদের আলো সাইকেলের হ্যান্ডেলে চকচকে অংশে ঠিকরে পড়ছে তমিজের মনে হলো সাইকেলটি হাসছে

তুমি হাসছো কেন?

তোমার বোকামি দেখে তাহেরের কথার কোনো উত্তর তুমি দিতে পার নাই তার মানে তাহের ঠিক বলেছে

মৃতদেহ বয়ে বেড়ানোর কোনো অর্থ হয় না আমার অধ্যায় শেষ আমাকে ভাঙ্গারি দোকানে চালান করো

তমিজ কিছুক্ষণ মাথা চুলকালো স্থির চোখে তাকাল সাইকেলের দিকে বলল, তুমি আমার বাবা নও তুমি শুধু একটি সাইকেল যুক্তিতে তাহেরের কথা ঠিক কিন্তু তুমি আমার কমরেড আমার সহযোদ্ধা পার্টির দায়িত্ব পালনে তোমার যোগ্যতা আমি জানি তোমার শ্রমের পদকগুলি আমি দেখতে পাই তুমি আমার প্রিয় কমরেড কমরেডের মৃত্যু হয় না

তোমার মতো কিছু বোকা লোক এখনো সাম্যবাদের স্বপ্ন দেখে পুরোনো স্মৃতি জাবর কেটে অক্ষম সময় কাটায়

হয়তো তোমার কথা ঠিক আমি একজন স্মৃতি-তাড়িত অক্ষম মানুষ ভুলতে পারি না তোমার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সেই স্কুল জীবন পার্টি অফিস পার্টির জনসভায় পুলিশের তাড়া খেয়ে কমরেড হালিমকে তোমার পিঠে চাপিয়ে বাইশ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিলাম সেদিন মরতে মরতে বেঁচে গেছি পুলিশের গুলি লেগেছিল তোমার শরীরে গুলির সেই চিহ্ন তোমার শরীরে আজও আছে

সাইকেল বলল, আমার মনে আছে

তোমাকে নিয়ে কত বিখ্যাত-সব কমরেডের সঙ্গে দেখা করতে গেছি কখনো বাড়িতে, কখনো জেলখানায়, কখনো গোপন আস্তানায় কখনো ছদ্মবেশে কখনো সাধারণ বেশে কী রোমাঞ্চকর ছিল সেইসব দিন

সাইকেল কি দীর্ঘশ্বাস ফেলল?

ফুলির কথা মনে আছে? আমাদের ফুলবানু মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশনের সঙ্গে রেল কোয়ার্টারে ওরা থাকতো

সাইকেলের মুখে হাসি দেখা গেল, খুব মনে আছে বাড়ির পেছন দিকের দেওয়ালে আমার হ্যান্ডেলের উপর ভর করে দাঁড়ালে ফুলিকে ফুল দিতে আমি পিছলে গেলাম তুমি-আমি দুজনেই ধপাস ফুলি হেসে কুটি কুটি ফুলির বাবা রাগে লাঠি হাতে তাড়া করলো আমরা দুজন মুহূর্তে হাওয়া

দেশভাগের পর চাচাদের সঙ্গে বাবা মাকে নিয়ে আগেই রাজশাহী চলে এসেছে আমি এলাম সাইকেল চালিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে রাজশাহী দেশভাগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি মুর্শিদাবাদ আমার জন্মভূমি, সাত পুরুষের ভিটেমাটি, রাতারাতি হয়ে গেল পরবাস দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নানা বিপদ এড়িয়ে অজানা অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতে আমরা পৌঁছে গেলাম আশ্রয়ের সন্ধানে আজও আমরা আশ্রয় খুঁজে ফিরছি শরণার্থীদের সেই দীর্ঘ কাফেলা চোখ বন্ধ করলে আজও দেখতে পাই

সাইকেল কোনো উত্তর দিল না

বলো বন্ধু, কী করে তোমাকে ফেলে দেই? সারাদিন আমার যত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা, আমি সব ভুলে যাই রাতের নীরব প্রহরে যখন তোমার দেখা পাই আর কদিনই-বা বাঁচবো বলো, আমার জীবনের শেষ আনন্দটুকু ছিনিয়ে নিতে চাইছে আমি তা হতে দেবো না আমি যতদিন বেঁচে আছি, তুমি আমার সঙ্গে থাকবে আমাদের দুজনের মৃত্যু একসঙ্গে হবে

রাতে ঘরে ফিরে তাহের বলল, বাবা, তোমার কথা ভেবে মন খুব খারাপ হয়ে আছে সাতদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছো টাকার অভাবে তোমাকে ডাক্তার দেখাতে পারি না ছেলে হিসেবে আমি তোমার কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারি না

তমিজ বলল, তুই না থাকলে আমরা উপোস করে মরতাম

বাবা, একটা কথা বলি, রাগ করো না সাইকেলটা কোনো কাজে আসছে না একটি অচল সাইকেল ঘরে রেখে কী লাভ! বিক্রি করে দেই সেই টাকায় তোমাকে ডাক্তার দেখাই

তমিজের মুখে কোনো কথা জোগাল না সে চুপ করে রইল

আমি ভাঙ্গারি দোকানির সঙ্গে কথা বলেছি পুরনো দিনের সাইকেল, ভালো দাম পাবে কয়েকদিন পর বাড়ি এসে সাইকেল নিয়ে যাবে

এবারও তমিজ নীরব রইলো

সকালবেলায় তহুরা বেগম বলল, তাহের তোমার ভালোর জন্যই বলছে তোমার চিকিৎসা হওয়া দরকার কেন তুমি জেদ ধরে আছো? কত বছর সাইকেলটা ঘরে পড়ে আছে হয় চালাও, না হয় বেঁচে দাও ঘাটের মরা ঘরে রাখতে পারবে না সাইকেলটা কোন কাজে লাগে বলো? ছেলেমানুষের মতো জেদ করো না

তমিজ মৃদু স্বরে বলল, আমিও তো ঘাটের মরা সংসারের কোনো কাজে আসি না তোমাদের বোঝা হয়ে আছি আমাকে রেখে কী লাভ?

কথা বলার ছিরি দেখ! তুমি আর সাইকেল এক হলো? আমরা কখনো বলেছি তুমি আমাদের বোঝা হয়ে আছো?

তা বলোনি কিন্তু কথা তো একই দাঁড়ায় তুমি আমি একদিন বুড়ো হব সংসারের কোনো কাজে আসবো না বসে বসে অন্ন ধ্বংস করবো আর রোগ-শোকে জর্জরিত হব ছেলে-ছেলের বৌ তখন বলবে, তোমরা কোনো কাজে আসছো না, চলো ফেলে দিয়ে আসি

তহুরা বেগম ঝংকার দিয়ে উঠলো, তোমার যা ইচ্ছা তাই করো

ঘুমানোর আগে তমিজ সাইকেলটির গায়ে হাত বুলিয়ে দিল সাইকেলের শীতল স্পর্শে তমিজের চোখে জল এল ভেজাগলায় ফিসফিস করে বলল, বন্ধু, আমাদের বিচ্ছেদের সময় ঘনিয়ে এসেছে তোমাকে আর রাখা যাবে না এবার বিচ্ছেদের পালা লাল সালাম, কমরেড

সজল চোখে কম্পিত হাতে তমিজ তার দীর্ঘদিনের সহচর পথের সাথীকে স্যালুট করলো

ভোরবেলায় তমিজের ঘুম ভেঙে গেল তখনও সূর্য উঠেনি রান্নাঘর থেকে টুকটাক শব্দ আসছে তাহের দোকানে যাবে তারই আয়োজন চলছে তমিজ বিছানা ছেড়ে নামলো শরীর হাল্কা বোধ করছে ভালো লাগছে কপালে হাত দিয়ে দেখল মনে হয় জ্বর নেই

রান্নাঘরে তমিজকে দেখে তহুরা অবাক হয়ে তাকাল, তুমি বিছানা ছেড়ে এসেছো কেন? দুর্বল শরীর, পড়ে-টড়ে যাবে

তমিজ বলল, মনে হয় জ্বর সেরেছে আজ জ্বর আসেনি

দেখি তো তহুরা আঁচলে হাত মুছে তমিজের কপালে হাত রাখল খুশি হয়ে বলল, আলহামদুলিল্লাহ! সত্যি জ্বর নেই

রুটি ভাজা গরম হাতের ছোঁয়া তমিজের ভালো লাগলো উদীপ্ত করলো মৃদু হেসে বলল, বাইরে একটু ঘুরে আসি সাতদিন ঘর ছেড়ে বের হই নাই, অস্থির লাগছে

তহুরা শঙ্কিত হয়ে বলল, বাহিরে কী কাজ? শরীরটা ভালো নেই, ঘরে বিশ্রাম নাও

বাবুদের মতো মর্নিং ওয়াক করে আসি শরীর-মন ভালো থাকবে

সকালের ঠান্ডা হাওয়া ভালো লাগছে এক কিলোমিটার পথ হেঁটে তমিজ ক্লান্ত হয়ে পড়ল বিশ্রামের জন্য রাস্তার একপাশে একটি কাঠের গুড়িতে বসে পড়লো চোখে পড়লো রাস্তার ওপারে ফালুমিয়ার সাইকেল-রিকশার রিপিয়ারিংয়ের দোকান তখনই মনে পড়ল তহুয়ার কথা- 'হয় চালাও, না হয় বিক্রি করে দাও' রাস্তা পার হয়ে তমিজ ফালু মিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো

ফালু বলল, না দেখে খরচাপাতি বলতে পারবো না

দুপুর বেলা ফালু এল সাইকেল দেখে বিস্ময়ে অভিভূত- ওস্তাদ, মাল কোথায় পেলে? তো বাঘের বাচ্চা! সবকিছু ঠিক আছে চালাও না, তাই অবস্থা হয়েছে টায়ার টিউব নষ্ট হয়ে গেছে, বিয়ারিংয়ে জং ধরেছে এগুলি পাল্টাতে হবে আর তেল-মবিল দিয়ে ওয়াস করে দিলে সাইকেল তোমার পঙ্খীরাজ!

খরচাপাতি কত?

তিন টাকা দিতে পারবা? মালামালের দামই আড়াই টাকা

এত টাকা পাবো কই?

এক কাজ করো, আমার কাছে বেচে দাও ঠিকঠাক করে আমি নিজে চালাবো এখন পাঁচ টাকা নাও পরে পাঁচ টাকা পাবে

সন্তান হত্যাকারীর দিকে মা যে ভয়ংকর ক্রোধ ঘৃণা নিয়ে তাকায়, তমিজ তেমনি ক্রুদ্ধ লাল চোখ মেলে ফালুর দিকে তাকাল ফালু ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বলল- ঠিক আছে, তুমি মালামাল কিনে দাও আমি ঠিক করে দেই তোমার যা ইচ্ছে আমার মজুরি দিও

ফালু সাইকেল নিয়ে গেল

তহুরা জিজ্ঞেস করলো, কত বিক্রি করলে?

এর উত্তর না দিয়ে তমিজ বলল- তহুরা, ভেবে দেখলাম যার কোনো কাজ নাই সে মৃত মানুষই কী আর সাইকেলই কী বেঁচে থাকতে হলে সচল থাকতে হবে তাহেরকে আমার সাহায্য করা দরকার সকাল সকাল দোকান খুলতে পারলে খদ্দের বাড়ে এখন থেকে সকাল বেলাটা দোকানে আমরা দুজন বসবো আমি আর আমার সাইকেল তাহের দুপুরবেলা থেকে বসবে তুমি কী বলো?

তহুরার চোখে জল এসে পড়ল কতকাল পর তমিজ যৌবনবেলার মতো কথা বলল সত্যি তো, কাজ ছাড়া মানুষের পরিচয় কী? যন্ত্রেরই-বা পরিচয় কী? বিয়ের পর পর চুপিচুপি একদিন তহুরাকে সাইকেলে চাপিয়ে তমিজের নৈশ ভ্রমণের সখ হলো কিছু দূর গিয়ে দুজনেই ধপাস কী কেলেংকারি! জানাজানি হলো, শাস্তি হলো সেই স্মৃতি মনে পড়ে মুখে মৃদু মধুর হাসি ফুটে উঠল সাইকেলটির প্রতি তার অনুরাগও কম নয়

তহুরা বলল- আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো হয় ছেলেটা আন্দার থাকতে বের হয়, ফিরে রাত দুপুরে ওর একটু বিশ্রাম হবে অন্য কাজকর্ম রুজি-রোজগারের ধান্দা করতে পারবে তারপর তমিজের চোখে চোখ রেখে রহস্যের হাসি ঝুলিয়ে বলল- সাইকেলটাও থাক তো আমার সতিন

অলংকরণ: রেজাউল হোসেন

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :