সড়ক দুর্ঘটনায় একই উপজেলার আটজনের মৃত্যুতে আলফাডাঙ্গায় শোকের ছায়া

ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪ জনের আটজনই আলফাডাঙ্গা উপজেলার। একই উপজেলায় মা-মেয়েসহ আটজন নিহতের ঘটনায় গোটা উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে কানাইপুরের অ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ১১ জন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান আরও ৩ জন। এ দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার আট নিহতরা হলেন- চর বাকাইল গ্রামের মৃত রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান (৫৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ নেওয়াজ আলীর মেয়ে জাহিনুর বেগম (৬০), আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরুন নেছা (৭০), মৃত ইব্রাহিম খাঁর স্ত্রী সুর্য বেগম (৫০), কুসুমদী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পিকআপ চালক মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (২৮), মেয়ে নুরানি (২)।
এছাড়াও পাশের এলাকা বোয়ালমারী উপজেলার ছত্রকান্দা গ্রামের একই পরিবারের চারজন জনসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেনের ভাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের লিফট অপারেটর রাকিব হোসেন মোল্যা (মিলন) (৪২), মিলনের স্ত্রী শামীমা ইসলাম সুমি (২৫) ও দুই সন্তান আলভি রোহান (৭), আবু জীনান (৪)। মিলনের প্রতিবেশী নিকটাত্মীয় মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬৫)।
এছাড়া মিলনের মা গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে, পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের রাকিব হোসেন ওরফে মিলন মোল্লা ঢাকায় সচিবালয়ে লিফটম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে পরিচিতদের মাধ্যমে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য তদবির করে ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল টিন সহায়তার বরাদ্দ নিশ্চিত করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্য ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু পথে বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
(ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/এমআই/ইএস)

মন্তব্য করুন