মা-বাবা চেঞ্জিং রুমে, চার বছর বয়সি মেয়ের প্রাণ গেল পুলে ডুবে

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০১

সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যাত্রাবাড়ী গোলাপবাগ ওয়ারী এলাকার মনিরুজ্জামান খান। সেখানে পৌঁছে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসে উঠেন তারা।

বিকাল সোয়া ৫টার দিকে স্ত্রী-সন্তানসহ যান সুইমিংপুলে। ছেলে ও মেয়েকে পুলের পাশে কীটকট চেয়ারে বসিয়ে চেঞ্জিং রুমে যান বাবা-মা দুজন। এরই মাঝে ভাইকে ফাঁকি দিয়ে গোসলরত অন্য পর্যটকদের দেখা দেখে পুলের পানিতে নেমে পড়ে মনিরুজ্জামানের চার বছর বয়সি মেয়ে সাফানা খান।

যে যার মতো ব্যস্ত থাকায় মেয়ের দিকে খেয়াল ছিল না মা-বাবা বা ভাইয়ের। বাবা-মা এসে মেয়েকে না দেখে খুঁজতে থাকলে এটেন্ডেন্ট বয় পুল থেকে সাফানাকে তুলে আনেন। এসময় অন্য পর্যটকরাও এগিয়ে এসে শিশুটি পেট থেকে পানি বের করেন। অবস্থা খারাপ দেখে সাফানাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মনিরুজ্জামানের দেওয়া লিখিত পত্রে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও লেখা হয়, নিজেদের অসাবধানতায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এতে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি নেই।

হোটেল ওশান প্যারাডাইসের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়ীদ আলমগীর বলেন, ‘হোটেলে পাশাপাশি দুটি সুইমিং পুল। একটি বাচ্চাদের অপরটি বড়দের। অভিভাবকরাই বাচ্চাদের তাদের সুইমিং পুলে সুইমিং করান। একসঙ্গে ২০-২৫ পরিবার সুইমিংপুলে নামেন। একাধিক বাবা-মা বাচ্চাদের সুইমিংয়ে নামান।

কিন্তু মঙ্গলবার হোটেলে ওঠা পর্যটক দম্পতি মনিরুজ্জামানরা অসচেতনতায় বাচ্চাদের রেখে একসঙ্গে চেঞ্জিং রুমে যান। বেখেয়ালে শিশু সাফানা পুলে পড়ে যান। মুহূর্তে মনিরুজ্জামান পরিবারের আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়। সমুদ্র দেখাতে জীবিত এনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় মেয়ের লাশ নিয়ে ঘরে ফিরছেন তারা। এটা চরম হৃদয়বিদারক।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘মনিরুজ্জামান লিখিত দিয়েছেন হোটেলের সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তার মেয়ে সাফানা খান সুইমিংপুলের পানিতে ডুবে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় হোটেলের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই উল্লেখ করায় পরিবারের কাছে শিশুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা মরদেহ নিয়ে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।’

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :