হবিগঞ্জে সমবায় সমিতির ভূমি ‘টি এস্টেটকে’ দেওয়া বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০১

হবিগঞ্জে ‘শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটকে’ বন্দোবস্ত দেওয়া ৩৮৮ একর সরকারি খাস জমির ৫৫ একর ভূমির বন্দোবস্ত আদেশ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় সাতাইহাল বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতারা।

শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১০ বছর (২০২৩- ২০৩৩ সন) মেয়াদে চা চাষের জন্য ৩৮৮.৯৬ একর ভূমি শ্রীমঙ্গল টি এস্টেটকে বন্দোবস্ত প্রদান করে। যার প্রায় ৫৫ একর ভূমি সাতাইহাল বহুমুখী সমবায় সমিতির।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন আহমদ (বীর প্রতিক)। এতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সদস্য ইসমাইল মিয়া, তফিল মিয়া ও আব্দুল হাইয়িদ।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বন্দোবস্ত ভূমির মধ্যে ৫৫ একর ভূমিতে নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল পূর্বপাড়া বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্যরা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশীদারত্বের চুক্তিতে গবাদি পশু, হাঁস মুরগী পালন, মৎস্য চাষ, কাসাবা, লিচু, কাঠাল, মাল্টা, লেবু, কাজু বাদাম, কপি ও আনারসসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ২০০১ সাল থেকে জেলা প্রশাসনের নিকট উক্ত ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করে আসছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২০১১ সালে সমিতির পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। ২০২০ সালে ভূমি সচিব আবেদনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রশাসন এতে কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু ২০২৩ সালে সমবায় সমিতিভূক্ত দুই শতাধিক পরিবারের জীবিকার অবলম্বন ৫৫ একর ভূমি চা বাগানকে দেওয়া বন্দোবস্ত ভূমির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বক্তারা বলেন, নবীগঞ্জ ভূমি অফিসার ও কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী সরেজমিন তদন্তকালে সমবায় সমিতির চাষাবাদ করা ভূমির বিষয়টি উপেক্ষা করে গেছে। অথচ মাঠ জরিপ নকশায় সমিতির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বোটানিক ইন্ট্রিগ্রেটেড এগ্রো লি: দখলদার রয়েছে বলে উল্লেখ আছে।

সংবাদ সম্মেলন আরও অভিযোগ করা হয় যে, বন্দোবস্তপ্রাপ্ত কোম্পানি ইতোমধ্যে চা উৎপাদনে সক্ষমতা হারিয়েছে বলে চিহ্নিত হয়েছে। তারা দেশের একটি প্রভাবশালী আবাসন কোম্পানির সঙ্গে গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চা চাষের নামে বিপুল পরিমাণ সরকারি ভূমি বন্দোবস্ত নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে কোনো চা চাষ হবে না। অন্য কোনো বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ফন্দি করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় তারা তাদের চাষাবাদ করা ভূমি বন্দোবস্ত থেকে বাদ দেওয়ার জোর দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে সমিতির নেতারা বলেন, রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বনের এই ভূমির দখল তারা ছাড়বেন না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন। এক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় প্রশাসন দায়ী থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এলএম/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :