নারায়ণগঞ্জে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা মিলন ফকিরসহ পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
রবিবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর এএসপি ও মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মো. রিজাউল ফকিরের ছেলে ও চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির (৪২), মৃত আলিম উদ্দিন ফকিরের ছেলে রিজাউল ফকির (৬৫) এবং রিজাউল ফকিরের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, তারা তদন্ত সূত্রে জেনেছে চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া বসবাস করে মানবপাচারের কাজ করে আসছিল। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেকার ও দরিদ্র মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে বিদেশ পাঠিয়ে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচার করতেন। তাদের এই ভয়ংকর কর্মের ভুক্তভোগী ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখের ছেলে জুবায়েদ। ভুক্তভোগীকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। তখন আসামিদের ফাঁদে পড়ে জুবায়েদের দরিদ্র বাবা-মা নিজের জমি বন্ধক রেখে এবং বিভিন্নভাবে টাকা জোগাড় করে এই চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেন। এরপর ২০২২ সালের আগষ্ট মাসের ২৯ তারিখে তারা যোগসাজশে ভুক্তভোগীকে পাচার করে লিবিয়া পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে জুবায়েদের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার পিতা-মাতা মূলহোতা মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে এই প্রতারক ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আরও দশ লাখ টাকা দাবি করেন।
র্যাব আরও জানায়, এরপর হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন পরিবারকে ফোন করে বলেন সেখানে তাকে প্রচুর অত্যাচার করা হচ্ছে এবং ট্রলারে মাধ্যমে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরও ৬ লাখ টাকা দেন তারা। তবে টাকা দেওয়া সত্ত্বেও ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে এই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৫মে/প্রতিনিধি/পিএস)