সালথায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি, গরম আর মশার কামড়ে অতিষ্ঠ মানুষ

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৪, ১১:৩৪| আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ১৩:৩৫
অ- অ+

গত দুই সপ্তাহ ধরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আকাশে জমছে কালো মেঘ। নামছে না বৃষ্টি। এমন অবস্থায় চলমান তীব্র দাবদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ সব চেয়ে বেশি বেড়েছে। প্রচণ্ড গরমে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু, বয়স্ক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যুতের গ্রাহকদের অভিযোগ, গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। যে কারণে অটোভ্যান ও রিকশাচালকরা তাদের গাড়িতে ঠিকমতো চার্জ দিতে পারেন না। ফলে দিনের বেলায় অনেক চালককেই ভাড়া টানা থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। তাছাড়া কৃষকদের সেচ দিতেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

অন্যদিকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীরাও বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দি গ্রামের কৃষক হাফেজ মোল্যা বলেন, তীব্র গরমে পাট খেতে কাজ করতে গেলে ঘেমে গোসল করে বাড়িতে আসতে হয়। এমন অবস্থায় বাড়িতে এসে ফ্যানের বাতাসে সবাই তাদের শরীর ঠান্ডা করতে চায়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পাটের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৭-৮ বার করে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। ফলে এই গরমে কাজ করে বাড়িতে এসে ফ্যানের বাতাস ভাগ্যে জোটে না। তাছাড়া ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে প্রায় গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

অটোভ্যানচালক আনিচ মিয়া বলেন, আমরা রাতভর অটোভ্যান চার্জ দিয়ে দিনভর ভাড়া টানি। কিন্তু কয়দিন ধরে রাতে ঠিকমতো বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে পুরোপুরি চার্জ দিতে পারি না। যে কারণে অনেক সময় ভাড়া টানা বন্ধ রাখতে হয়। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

সালথার জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতী বলেন, সন্ধ্যার পর যখন পড়তে বসি, ঠিক তখনই কারেন্ট চলে যায়। এতে আমরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারি না। মোমের আলোতে পড়তে বসে ঘেমে ভিজে গোসল করে ফেলি। শুধু তাই নয়, মশার কামড়েও পাগল হয়ে যেতে হচ্ছে।

শনিবার সকালে সালথা উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বলেন, সালথায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক প্রায় ৪৫ হাজার। এখানে বিদ্যুতের তেমন ঘাটতি নেই। তবে ওভার লোডের কারণে কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার গট্টি এলাকায় বিদ্যুতের আরেকটি নতুন সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সেখানে সাব-স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা গেলে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ আর পোহাতে হবে না।

(ঢাকা টাইমস/২৬মে/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেবে যুক্তরাষ্ট্র: কংগ্রেসম্যান রিচ ম্যাকরমিক
রাজবাড়ীতে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
আজ সরকারি অফিস-ব্যাংক-পুঁজিবাজার খোলা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা