শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সুপার ওভারে গড়াল ওমান-নামিবিয়া ম্যাচ
চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই সুপার ওভার দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানের দেওয়া ১১০ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ১০৯ তুলতে সক্ষম হয়েছে নামিবিয়া। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে।
১৯তম ওভার শেষে জেতার জন্য মাত্র ৫ রান দরকার ছিল নামিবিয়ার, হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু মেহরান খানের ওভারে সবকিছু উলট পালট হয়ে যায়। ওমান পেসার প্রথম তিন বলে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন পুরো ১৮০ ডিগ্রি, জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা নামিবিয়া পড়ে যায় বিপদে।
চতুর্থ বলে সিঙ্গেল ও পঞ্চম বলে ডাবলস নেয় নামিবিয়া। ফলে শেষ বলে দরকার পড়ে ২ রান। শেষ বলে ব্যাট লাগাতে না পারলেও ওমানের উইকেটরক্ষকের ভুলের সুযোগ নিয়ে এক রান নিয়ে নেয় তারা। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে।
সহজ লক্ষ তাড়া করার ম্যাচে নামিবিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন ও নিকোলাস ডেভিন। তবে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করাই আগেই ভেঙে যায় এই জুটি। বিলাল খানের বলে বোল্ড হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরে যান মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন। তার বিদায়ে শুন্য রানেই প্রথম উইকেট হারায় নামিবিয়া।
শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন নিকোলাস ডেভিন ও জ্যান ফ্রাইলঙ্ক। নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটে হয় ৪২ রানের জুটি। এ সময় ৩১ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ডেভিন। অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস আউট হন ১৩ রান করে। a
কিন্তু ফ্রাইলিঙ্ক হাল ধরে রাখেন শক্তভাবে, পাশাপাশি ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে রানও তুলে নিচ্ছিলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে জেজে স্মিত আউট হন ৮ রান করে।
দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান ফ্রাইলিঙ্ক। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এ অলরাউন্ডার শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হলে পরিস্থিতি বদলে যায়, সেটা আরও ঘোলাটে হয় মেহরান খানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে। দ্বিতীয় বলটি ডট দেন মেহরান। তৃতীয় বলে নেন জন গ্রিনের উইকেট। শেষ তিন বল খেলে আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি নামিবিয়া। যার ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
এর আগে কোনোমতে ১০৯ রান করতে সমর্থ হয় ওমান। টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই এদিন উইকেট ছুড়ে দিয়ে যান। দুই ওপেনারের মধ্যে কাশ্যাপ প্রজাপতি শূন্য ও নাসিম খুশি ৬ রান করে বিদায় নেন। মাঝে কাশ্যাপের মতো গোল্ডেন ডাক দেন ওয়ানডাউনে নামা আকিব ইলিয়াস। চতুর্থ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু খালিদ কাইল ও জিশান মাকসুদের ২৭ রানের জুটির পর আবার উইকেট তুলে নেয় নামিবিয়া। এ সময় ২২ রান করে জিশানকে সাজঘরে ফেরান রুবেন ট্রাম্পেলম্যান। আয়ান খান তখন খালিদকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ২১ বলে ১৫ রান করে জেরহার্ড এরাসমাসের বলে ফ্রাইলিঙ্ককে ক্যাচ দেন তিনি।
মোহাম্মদ নাদিম ১০ বলে করেন মাত্র ৬ রান। এরপর দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করা খালিদ ক্যাচ দেন বোলার ডেভিড ভিসেকে। ৩৯ বলের ইনিংসে ১টি করে চার ও ছয় হাঁকান ওমান ব্যাটার। মূলত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেয় তাদের। তবুও ১৯.৪ ওভারে কোনোমতে একশ’র বৈতরণী পার হতে সক্ষম হয় দলটি। শাকিল আহমেদ ১১ ও মেহরান খান করেন ৭ রান। নামিবিয়ার হয়ে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ট্রাম্পেলম্যান। ৩ উইকেট নিতে ভিসে খরচ করেন ২৮ রান। এরাসমাস ২টি ও বার্নার্দ স্কুলজ নেন ১ উইকেট।
(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/এনবিডব্লিউ)