শৈলকুপায় পুলিশের ওপর আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলা, ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩০

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আসামি গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
রবিবার বিকালে শৈলকুপা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, রবিবার দুপুরে শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক সিকদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
শৈলকুপা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১০ মিনিটের এ হামলার ঘটনায় অন্তত ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যার ফলে এমনটি হয়েছে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
সেদিন সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে বিতাড়িত করার হুমকি দেন।
মেয়র আরও বলেন, এ দুর্নীতিবাজ ওসি সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করব।
পৌর মেয়রের এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা শহরের চায়ের দোকান ও বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন