ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২৪, ১৪:৪২
অ- অ+

ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর তোপখানায় দলটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সহসভাপতি সোহেল শিকদারের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সেখানে আরও বক্তব্য দেন দলের এবং প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি বাংলাদেশের মাফিয়া সরকারের এবং ইন্ডিয়ার ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফেরত যাওয়া নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন, সে ভাষায় কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা রাজাকাররা এবং পাকিস্তানিরা। উনার এরূপ বক্তব্য স্পষ্ট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেঈমানী বলে মনে করি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এদেশের জনগণের টাকা খরচ করে ভারতকে ট্রানজিট, বন্দর ও বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তাই ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। ট্রানজিট যদি দিতেই হয় তাহলে সেটা হতে হবে ট্রান্স-এশিয়ান কানেকশনে যুক্ত সকল দেশের সঙ্গেই একে অপরকে দেওয়ার মাধ্যমে। শুধু নির্দিষ্ট একটা দেশকে ট্রানজিট দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের বিপক্ষে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

সভায় ফরিদুল হক বলেন, ‘ইন্ডিয়া অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়৷ কারণ দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়া তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই সার্ককে তারা অকার্যকর করে রেখেছে। এ জন্যই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরতদের অর্থাৎ আমাদেরকে ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় ‘ইসলামিক মৌলবাদী’ হিসেবে হাজির করা হয়। অন্যদিকে ভোটারবিহীন দিল্লির বরকন্দাজ অবৈধ হাসিনা সরকারকে ‘গণতান্ত্রিক’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।’

লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে ইমরান ইমন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে যেভাবে ইউরোপের মধ্যে ‘ফ্রি যাতায়াতের’ উদাহরণ দিয়েছে সেটা তো কোনোভাবেই ভারত-বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেখানে যাতায়াত হয় সম-মর্যাদার দুইটা দেশের মধ্যে এবং সেখানে এক দেশ আরেক দেশকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরেও রাখে না, আর এক দেশের বাহিনী সেই কাঁটাতার পেরিয়ে এসে আরেক দেশের নাগরিকদের গুলি করেও মারে না! ভারত রাষ্ট্র একদিকে আমাদেরকে কাঁটাতারে ঘিরে রেখেছে, আমাদের সীমানার ভেতরে ঢুকে আমাদেরকে গুলি করে মারছে, অন্যদিকে উনি তাদেরকে করিডোর দিয়ে এসে জনগণকে ইউরোপের উদাহরণ দিচ্ছেন! বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক বিকাশের জন্য, তথা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দিল্লির গোলাম হাসিনা সরকারের অপসারণের কোনো বিকল্প নাই।’

এসময় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, ঢাকা জেলা সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সমন্বয়ক এহসান আহমেদ, দ্বীন ইসলাম, ইয়াকুব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এমআই/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
খুলনায় শিক্ষককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাচেষ্টা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ দফা দাবিতে রেল অবরোধ
রাঙামাটিতে ট্রাক্টর উল্টে প্রাণ গেল ৩ শ্রমিকের
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচা-ভাতিজাসহ ৩ জনের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা