রেশনিংসহ সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির বিক্ষোভ

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২৪, ১৮:২২
অ- অ+

পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের বাজেটে কর ছাড় বাতিল এবং পোশাক শ্রমিক নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য রেশনিং সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ হয়।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এফ এম নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম হোসন, হযরত বিল্লাল, আকলিমা বেগম, আসলাম শিকদার আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত দেশের ৫৩ তম প্রস্তাবিত বাজেটে রপ্তানী আয়ের শীর্ষখাতের কারিগর পোশাক শ্রমিকসহ শ্রজীবিদের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস আনতে পারেনি। এনছে দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার শঙ্কা। বাজেটে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত থেকে রক্ষা করতে কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রস্তাবিত দেখা যায়নি পোশাক শ্রমিক শ্রজীবিদের জন্য রেশনিং , আবাসনসহ শ্রমখাতে বাজেটে বরাদ্দর দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠলেও প্রস্তাবিত বাজেটে তার ছাপ নেই। নেই, দেশের জনগন সৎ করদাতার স্বস্তি বা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার উদ্যোগ। উল্টো অপ্রদর্শিত আয় সম্পদের মালিক পাচারকারীদেও জন্য আছে প্রশ্নাতীত কর ছাড়। বৈধ প্রদর্শিত আয়কারীদের সবোচ্চ কর ৩০% অন্যদিকে অবৈধ-অপ্রদর্শিত সম্পদ মালিকদেও কর মাত্র ১৫% ফলে নিয়মিত বৈধ সৎ করদাতা উপর চাপ বাড়বে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিশেষ ছাড় ক্ষমতাবান বিশেষ ব্যক্তি-গোষ্ঠী-প্রতিষ্ঠানকে সরকারের ছত্রছায়ায় রক্ষা পাবার সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে। সরকারের জবাবদিহিতাহীন, অস্বচ্ছ অগণতান্ত্রিক সকল তৎপরতাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্নীতিগ্রস্থদের সুযোগ দেয়া হয়েছেযা বাজেটে আরেকবার সামনে এসেছে। অথচ শ্রমজীবিরা বর্তমান বাজারে বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পাচারকারী-অপ্রদর্শিত-অবৈধ সম্পদ মালিকদের তোষন বন্ধ করে প্রস্তাবিত বাজেটে কর ছাড় বাতিল করার আহবান জানান।

বক্তারা পোশাক শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের জনগণের জীবন মান উন্নয়নে এবং শ্রমখাতে যথাযথ নির্দিষ্ট বরাদ্দর দাবি জানান। তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতিতে জনগনের জীবন নাভিশ্বাস পরিস্থিতি। বাজার সিন্ডিকেট দ্বারা লাগাহীনভাবে নিয়ন্ত্রিত। দ্রব্যমূল্য জনগনের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। পোশাক শ্রমিকরা যে ১২৫০০ টাকা মজুরি পান তা তাদের মৌলিক চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভার টাইম করেও তারা জীবন নির্বাহ করতে পারছেনা। সুচিকিৎসারও ব্যবস্থা নাই। দেশে কোন জাতীয় ন্যুনতম মজুরি নেই। এই পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবিদের জীবন রক্ষায় বাজেটে বরাদ্দ এখন তাই সময়ের দাবি বলে তারা অভিহিত করেন।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত মুল্যস্ফীতির নিষ্ঠুরতা ভাগীদার হবে নি¤œ আয়ের মানুষরা। মূল্যস্ফীতি সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী % অন্যদিকে বিআইডিএস মতে ১৫% সিপিডি মতে প্রায় ২০% এর বেশী। এর জন্য জীবনে চড়া দাম দিতে হবে শ্রমজীবিকে। তারা আরো বলেন, একদিকে মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে ২লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট এবং ঋণের সুদে পরিশোধে মোট বাজেটের ১৪. শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনীতিকে এবং সাধারনের জীবনকে আরো বিপদে নিয়ে যাবে।ঋণের ফাঁদে আটকে পরোক্ষ করের বোঝায় জর্জরিত হবে নিম্ন আয়ের জনগণ

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই সংকট থেকে মুক্ত হতে সামাজিক সুরক্ষাখাতে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবিদের রেশনিং, ফ্যামিলি কার্ড শ্রমখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ছাড়া পথ খোলা নেই। গত ২৩-২৪ অর্থ বছরে কোটি ফ্যামিলিী কার্ড বা আগামীতে কাদের এই কার্ড দেয়া হবে তা জনগণের কাছে অস্পষ্ট। যতদুর জানা যায় ক্ষমতাসীন সরকারের দলীয় সুবিধা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এগুলো ব্যবহৃত হয়। তাই এই বাজেটে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সাথে বাজেটে রেশনিং অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষারখাতে বরাদ্দ দাবি জানান তারা।

তারা বলেন, সামাজিক সুরক্ষাখাতের শ্রমজীবিদের কিছুটা স্বস্তির জায়গা তৈরি করতে পারতো। কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকি আছে এখাতেও। এই খাত থেকে সরকারী চাররীজীবিদের পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, স্কুল কলেজ শিক্ষা বৃত্তি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের কলোনী নির্মান, চাকরী অবস্থায় সরকারী কর্মকর্তাদের পেনশন, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ইত্যাদিতে বরাদ্দ দেয়া হয়। অথচ নিম্ন আয়ের পোশাক শ্রমিক শ্রমজীবিদের জোটে না কিছুই। টাকার অঙ্কে সামাজিক সুরাক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়লেও তা সাধারণ মানুষের দৌড় গোড়ায় যায় না। বর্তমান বাজেটে সামাজিক সুরক্ষাখাত থেকে পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবির জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানান নেতৃবৃন্দ।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শিগগিরই প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে: প্রেস সচিব
ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা ডিএমপির
বাংলাদেশ-মিয়ানমার করিডোর: অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা