রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এখনো জলাবদ্ধ

ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট রাজধানীর জলাবদ্ধতা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। শুক্রবার সকালে টানা বৃষ্টি থামার প্রায় ২০ ঘণ্টা পার হলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকার লালবাগ, ধানমন্ডি, রাজারবাগ, গোপীবাগ, কমলাপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় পানি জমে আছে। এতে চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। এমন পরিস্থিতিতে ছুটির দিনেও পানি সরাতে মাঠে নেমেছে ঢাকার দুই সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পানিতে থই থই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের সামনে রাস্তা, কার্জন হল এলাকা, এছাড়া পানিতে ডুবে আছে লালবাগের বক্সিবাজার ও খাজে দেওয়ান এলাকা।
অন্যদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনের সড়ক থেকে একটু এগোলেই মুগদা, মানিকনগর ও গোপীবাগের একই অবস্থা। শনিবার সকালেও জলজটের দুর্ভোগে অফিসে আসতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কর্মজীবীরা।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কের পাশাপাশি ফুটপাতেও ছিল থই থই পানি। সড়কে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে তৈরি হয় যানজট। ভোগান্তিতে পড়ে রাজধানীবাসী।
এ ব্যাপারে নগর পরিকল্পনাবিদ হিসাম উদ্দীন চিশতী বলেন, ‘মূল ঝামেলাটা আসলে আমাদের অবকাঠামো ও নগরায়ণটা এই প্রকৃতি বিবেচনা করে হয়নি। আমাদের এখানকার আবহাওয়া ও জলবায়ু বিবেচনা করে এই অবকাঠামো ও নগরায়ণটা হয়নি। আমাদের ব্যবস্থাটা হয়ে গেছে পুরোপুরি কংক্রিটের ড্রেন নির্ভর। কিন্তু আমাদের জন্য এই পানি সরানোর কাজটা খুব সহজেই করার মতো। নগরায়ণটা এমনভাবে হয়েছে, যাতে এই কাজ বেশ জটিল হয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ‘এখানে যেসব খাল ছিল সবগুলোই কিন্তু আমরা অবাধে ভরাট করছি। নিচু জায়গাগুলো অবাধে ভরাট করা হচ্ছে। বাকি খালে কী থাকে? এ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একটি প্রদর্শনী করেছিল। তাতে দেখা যায়, খালে জুতা থেকে শুরু করে বিছানা-বালিশ-তোষক, সবই পাওয়া গেছে। আসলে আমাদেরকে এই দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টাতে হবে। শুধু আরও ড্রেন বানিয়ে, নতুন প্রকল্প করে এই সমস্যা আসলে সমাধান করা যাবে না।’
শুক্রবার ভোর থেকে ছয় ঘণ্টায় রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকাতেই এই বর্ষণ।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/কেএ)

মন্তব্য করুন