দিলদার নেই ২১ বছর

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদার। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমাটির মাধ্যমে যার অভিনয়ে পদার্পণ। এরপর অসংখ্য ছবিতে তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন। ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই বছরেরই ১৩ জুলাই পরিবার ও অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে দিলদার। তারপর কেটে গেছে ২১ বছর। কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্রে তার শূন্যস্থান আজও কেউ পূরণ করতে পারেননি।
প্রেমকাহিনির সিনেমা হোক কিংবা অ্যাকশনের, সেখানে দিলদারের অসামান্য কৌতুকাভিনয় বাড়তি বিনোদন দিতো দর্শকদের। মানুষকে হাসানোর এক অভিনব দক্ষতা ছিল এই অভিনেতার। কারণ অভিনয়ের সময় তার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই কথা বলতো। এমন অনেক সিনেমা রয়েছে, যেগুলোতে কেন্দ্রীয় চরিত্রকেও ছাপিয়ে গেছে দিলদারের অভিনয়।
শুধু কৌতুক অভিনেতা হিসেবে নয়, নায়ক হিসেবেও রূপালি পর্দায় হাজির হয়েছেন দিলদার। ১৯৯৮ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ ছবিতে তখনকার সুপারহিট নায়িকা নূতনের বিপরীতে নায়ক হিসেবে দেখা যায় তাকে। সেই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন দিলদার। দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল দিলদার-নূতন জুটির সেই প্রেমের ছবিটি।
বর্তমানে কোথায়, কেমন আছে দিলদারের পরিবার?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়াত দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। তিনি থাকেন ঢাকার ডেমরায়। সেখানে দিলদারের করে যাওয়া পাঁচতলা একটি বাড়ি রয়েছে। মাঝে মাঝে দিলদার-পত্নী দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার এবং জিনিয়া আফরোজের সঙ্গেও থাকেন। দিলদার-রোকেয়া দম্পতির এই দুটি মাত্রই সন্তান।
বড় মেয়ে মাসুমা আক্তার একজন দাঁতের ডাক্তার। তার ছেলে পড়েছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেয়ে পড়ছে চাঁদপুরের একটি কলেজে। মাসুমা স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে থাকেন চাঁদপুরেই। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ। তিনি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। চাকরির সূত্রে থাকেন ঢাকার নিকেতনে।
(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন