কোস্টগার্ডের বাধায় নাফ নদে ভাসছে বিজিপি সদস্যদের বহনকারী ট্রলার

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে আবারও তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আরাকান বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশসহ (বিজিপি) নিরাপত্তা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য। বর্তমানে তারা দুটি ট্রলারে করে নাফ নদীতে অবস্থান করছে।
রবিবার বিকালে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটের নাফ নদীতে দুটি কাঠের ট্রলারে করে ভাসছে।
বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় কোস্টগার্ডের বাধার মুখে পড়ে। পরে তাদের বহন করা ট্রলার দুটি নাফ নদীতে ভাসতে থাকে।
তবে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নাফ নদীতে দুটি কাঠের ট্রলারে করে মিয়ানমারের বিজিপিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য অনুপ্রবেশকালে আমরা বাধা প্রদান করি। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্তমানে নাফ নদে টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল্লাহ মনির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিকালে নাফ নদীর জেটিঘাটে দুটি কাঠের ট্রলারে করে বেশ কিছু মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ঢোকার চেষ্টা করেছে। তবে তাদের কোস্ট গার্ড বাধা দেয়ায় তারা নাফ নদে অবস্থান করছে। তবে বেশ কিছু রোহিঙ্গা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সীমান্তে ওপারের বিকট গোলার শব্দে শোনা গেছে। আগুনের কুণ্ডলীও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, অফিসিয়ালী বিজিবি বা কোস্টগার্ড এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে এরকম কথা আমি শুনেছি। আজ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে এমন তথ্য ঢাকা টাইমসের কাছে এসেছে। এমন তথ্য সঠিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি কিছু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে এবং করার চেষ্টা করেছে। তবে বিজিবি তাদেরকে পুশব্যাক করেছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইউএনও আরও বলেন, সীমান্তের বাসিন্দারা আজকেও ওপার থেকে গোলার বিকট শব্দ পাওয়ার কথা বলেছেন। নাফ নদীর ওপারে আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে বলে জানান তারা।
এদিকে এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
ট্রলারে করে বিজিপি সদস্যদের নাফ নদে ভাসাতে থাক এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইতে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন