কাতারে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার দাফন আজ
ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ কাতারে পৌঁছেছে। দেশটির রাজধানী দোহায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা অনুষ্ঠিত হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর (হামাস) রাজনৈতিক প্রধান হানিয়াহকে শুক্রবার দোহার সবচেয়ে বড় মসজিদ— ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে দোহার উত্তরের শহর লুসাইলের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
হামাস বলেছে, ‘আরব এবং ইসলামিক নেতারা পাশাপাশি অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপদলের প্রতিনিধি এবং জনসাধারণ হানিয়ার জানাজাসহ শোক অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দেবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সিরিয়ার দামেস্কে হামাসের অফিস বন্ধ হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর কার্যক্রম কাতার থেকেই পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশটির রাজধানী দোহাতে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বসবাস করতেন হানিয়াহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির ইমামতিতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। একই দিনে লেবাননে হামলা চালিয়ে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করে ইসরায়েল।
যদিও বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে তেহরানে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বিষয়ে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হামাস ও ইরান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে।
এরপর থেকেই হানিয়াহকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। এমনকি ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কমান্ডার ফুয়াদ শুক্কুরকে হত্যার প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।
(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/এমআর)