রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অর্ধশতাধিক
রাজশাহীতে অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে মুহুর্মুহু গুলি আর বোমার শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে মহানগরীর আলুপট্টি এলাকা।
আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো রাজশাহী নগরীতে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে নগরীর তালাইমারী সংলগ্ন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পরে দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর স্বচ্ছ টাওয়ার মোড়ে আসেন। তারা নগরীর কুমারপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়।
একপর্যায়ে তিন শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে পিছু হটেন বিক্ষোভকারীরা। তারা পিছু হটে ফেরার পথে স্বচ্ছ টাওয়ার তালাইমারী রুটে আওয়ামী লীগের তিনটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের ডিসি হাফিজুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যারা আন্দোলন করছে তারা দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসী। তারা নগরীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করেছে। পরে সন্ত্রাসীরা সাহেব বাজার এলাকার দিকে আসতে চাইলে পুলিশ প্রতিহত করে। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।(ঢাকা টাইমস/০৫আগস্ট/এসএ)