অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকে খালাস পেলেন ড. ইউনূস
বিগত সরকারের আমলে করা দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস পেলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ আসামি।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছিল।
নি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা এই মামলায় আসামি ছিলেন ১৪ জন। ১২ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নুরজাহান বেগম, এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী ইউসুফ আলী, জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম এবং গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের কামরুল হাসান।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ মে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ২ এপ্রিল তা আমলে নেন ঢাকা মহানগর আদালত। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
তবে ড. ইউনূস বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রতিহিংসামূলকভাবে সরকার তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাঁড় করিয়েছিল বলে বিভিন্ন সময় তিনি দাবি করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/এসআইএস/ইএস)