ডিজিটাল যুগের নতুন প্রজন্ম জেনারেশন জেড কারা, জানুন

ডিজিটাল বিশ্বে জন্ম নিয়ে নতুন তরুণ প্রজন্ম সামাজিক ন্যায়বিচার, পরিবেশ আন্দোলন ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নতুন আবিষ্কৃত কাজের ক্ষেত্র নিয়ে বেশ সচেতন। তরুণ প্রজন্মের চিন্তাধারা, আচরণ এবং জীবনযাপন পদ্ধতি পুরোনো প্রজন্মের তুলনায় অনেক ভিন্ন। নতুন তরুণ প্রজন্মকে চিন্তাশীল, সহানুভূতিশীল ও পরিশ্রমী বলে আখ্যায়িত করছেন গবেষকরা।
আমাদের বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নতুন করে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। নতুন সূচনা ঘটতে যাচ্ছে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে এই দেশ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণ সমাজ।
তরুণ প্রজন্মের চিন্তা ভাবনা প্রশংসিত হচ্ছে নেটজুড়ে। বিশ্বের কাছেও তাদের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। কেনই বা নয়, এই তরুণরা যে নতুন প্রজন্মের অংশ। যাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে জেন জেড বা জেনারেশন জেড নামে।
নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা, কাজের ধারাবাহিকতা আগের প্রজন্ম থেকে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ তারা ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট হাতে বড় হয়েছে। ঘরে বসে গোটা বিশ্বকে দেখে বড় হয়েছে। যাদের চিন্তাভাবনায় জুড়ে রয়েছে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন।
‘জেনারেশন জেড’কে সংক্ষেপে বলা হয় ‘জেন জেড’। এই প্রজন্ম এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। কারণ তারা পুরোনোকে বদলে নতুনের সূচনায় নিজেদের ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যম সব জায়গাতেই তাদের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেকেই হয়তো জেন জেড-এর সঙ্গে পরিচিত নন। নতুন প্রজন্মে জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন জেড নামে পরিচিত। ব্রিটানিকা বলছে, ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিক কিংবা ২০০০-এর দশকের প্রথম থেকে জন্ম নেওয়া সবাই ‘জেনারেশন জেড’। আরও তথ্য মতে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যারা জন্ম নিয়েছে তারা জেন জেড। এর মানে হচ্ছে, সর্বশেষ নতুন প্রজন্মকেই জেন জেড বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যাদের বয়স এখন ২৭ বছরের মধ্যেই।
সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪০ থেকে ১৯৫৯ এর মধ্যে যারা জন্মেছেন তারা ‘বেবি বুমার্স’ নামে পরিচিত। এরপরের প্রজন্মের জন্ম হয় ১৯৬০ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে। তাদের বলা হয় জেনারেশন এক্স। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে যারা জন্ম নেয় তারা জেনারেশন ওয়াই বা মিলেনিয়াল। আর ১৯৯৫ থেকে ২০১০ এর মধ্যে যাদের জন্ম হয়েছে তারাই হচ্ছে জেনারেশন জেড বা জেন জেড। সেই অনুযায়ী, ৭ থেকে ২৭ বছর বয়সী বাচ্চারা জেনারেশন জেড বলেই পরিচিত।
‘জেনারেশন জেড’ (Generation z); সংক্ষেপে ‘জেন জি’। জেনারেশন জেড বা জেনারেশন জি'কে Gen z, iGeneration, Gen Tech, Gen Wii, Homeland Generation, Net Gen, Digital Natives, Plurals এবং Zoomers নামেও ডাকা হয়।
জেন জেড- এর ছেলে মেয়েরা জন্মেছে ইন্টারনেট যুগে। বিশ্বজুড়ে যখন ইন্টানেটের যুগ শুরু হয় এবং সবকিছুই যখন ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে তখনই এই প্রজন্ম পা রেখেছে পৃথিবীর বুকে। স্মার্ট ফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ নানা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দেখেছে তারা। পড়া-লেখা শেখার আগেই শিশুরা আইফোন ব্যবহার শিখছে। প্রাপ্তবয়স হওয়ার আগেই ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া।
বিশেষজ্ঞরা জানান, জেনারেশন জেড-এ জন্ম নেওয়া ছেলে মেয়েরা আধুনিক মন মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্ম বা সামাজিক চিরাচরিত বিষয় নিয়ে তারা খুব বেশি ব্যস্ত থাকে না। বরং তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই বেশি পছন্দ করে।
ফেসবুক ও ই-মেইলের ব্যবহারকে সীমিত করে এই প্রজন্ম এখন ইন্সটাগ্রাম এবং ইউটিউব ব্যবহারে বেশি অভ্যস্ত। তাদের অধিকাংশই এখন অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। অনলাইনে কেনাকাটা, অনলাইন ক্লাস, অনলাইন আড্ডা, অনলাইন গেমিংসহ আরও অনেককিছুই তারা অনলাইনে সেরে নিচ্ছে। তাইতো এই প্রজন্মকে ইন্টারনেট প্রজন্মও বলা হয়।
২০০৭-২০০৯ সালের মহামন্দা এবং কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা একটি নতুন ছাঁচ পেয়েছে এই প্রজন্ম। তাদের প্রারম্ভিক বছরগুলোতেও মার্কিন সমাজেও বড় পরিবর্তন হয়। দেশটিতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচিত হন।
‘জেনারেশন জেড’কে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজন্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আগের প্রজন্মের তুলনায় জেন জেড-এর ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। তারা আইনিভাবে স্বীকৃত অধিক হারে একক বাবা-মা, জাতিগত মিশ্র পরিবারের সন্তান।
২০১৮ সালে এই প্রজন্মকে নিয়ে এক গবেষণা হয়। সেই গবেষণার বরাতে ব্রিটানিকা জানায়, জেনারেল জেড-এর সবচেয়ে বয়স্ক সদস্যরাও দেরি করে বিয়ে করেন। এই প্রজন্মের মাত্র ৪ শতাংশ ২১ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করেন। এই হার আগের মিলেনিয়াল প্রজন্মের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
কিছু প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জেনারেশন জেড প্রজন্ম আগের প্রজন্মের তুলনায় বেশি বাস্তববাদী। তারা সময়ের আগেই পরিপক্ব হয়ে উঠে। এরা আগের প্রজন্মের তুলনায় বেশি স্নাতক ডিগ্রি সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এই প্রজন্ম ক্যারিয়ার নির্ধারণে বেশি সচেতন থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, জেন জেড প্রজন্ম অত্যন্ত আশাবাদী। তারা নিজেদের এগিয়ে কল্পনা করতে ভালোবাসে। তারা সৃজনশীলতাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তারা সম্পূর্ণ নতুন কিছু সৃষ্টির চিন্তা করে।
জেন জেড প্রজন্মের বড় অংশ রেস্টুরেন্ট প্রেমী। তারা বাইরের খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করে। ইন্ডিয়ান, জাপানিজ, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, রাশান কিংবা আমেরিকান রেসিপিকে তারা পছন্দের শীর্ষে রাখে। এই প্রজন্মের হাত ধরেই ‘ফাস্ট ফুড’ কালচারেও পরিবর্তন এসেছে। রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি ফুডকোর্ট কিংবা মিনি ফুডকোর্টের সংখ্যা বেড়েছে।
এই প্রজন্ম সিনেমা দেখার রুচিবোধেও বদল এনেছে। হলিউড কিংবা বলিউডের বাইরে তারা কোরিয়ান, জাপানিজ, চায়নিজ, নেপালি, মালয়ালামসহ আরও অন্যান্য ধারার সিনেমার দর্শক তৈরি করেছে। বাংলা সিনেমা কিংবা আর্টফিল্মকেও তারা জনপ্রিয় করেছে।
টেকনোলজি ফ্রিকেও এই প্রজন্ম এগিয়ে। শুধুমাত্র কথা বলায় সীমাবদ্ধ নেই মোবাইল ফোন বা স্মার্ট গ্যাজেটস। ফোন ক্যামেরায় শর্টফিল্ম তৈরির ট্রেন্ডও এসেছে এই প্রজন্মের হাত ধরেই। গুগল ম্যাপ, ডেইলি নোটপ্যাড, নেভিগেশন কিংবা লাইভ টিভির মতো প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে।
জেন–জির মুখে মুখে ফেরা কিছু শব্দের অর্থ
অরা (Aura)
ব্যক্তিত্বের পরিমাপক। একজন কতটা ‘কুল’ বা ইতিবাচক কিংবা কতটা ‘আনকুল’ বা নেতিবাচক, তা পরিমাপ করা হয় এই শব্দ দিয়ে। ‘অরা গেইন’ ব্যবহৃত হয় ইতিবাচক অর্থে এবং ‘অরা লস’ নেতিবাচক অর্থে।
উদাহরণ: ও কি কাজটা করে অরা লস করল না?
বেইজড (Based)
প্রকৃত অর্থে ‘অন্যে কীভাবে দেখল, তা তোয়াক্কা না করে নিজের অবস্থানে অবিচল থাকা’। তবে শব্দটি এখন ব্যবহৃত হয় কোনো মতামত বা কোনো কিছুতে একমত পোষণ করার ক্ষেত্রে। বিশেষত যেকোনো বিতর্কিত বিষয়ের বেলায় শব্দটি জুতসই।
উদাহরণ: তোমার মতামত বেইজড।
ব্রাহ্ (Bruh)
শব্দটি ব্যবহার করা হয় কারও কিংবা কোনো কিছুর প্রতি শক, হতাশা কিংবা বিব্রতবোধ বোঝাতে। এটি মূলত ইংরেজি ‘ব্রাদার’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ।
উদাহরণ: এইটা কী করলা, ব্রাহ!
বাসিন (Bussin)
খুব ভালো। কোনো কিছুকে খুব ভালো বোঝাতে বলা হয় ‘বাসিন’। রান্নার প্রশংসা করতেও শব্দটির চল আছে।
উদাহরণ: সালাদটা যা হয়েছে না! বাসিন!
ক্যাপ (Cap)
মিথ্যা। কেউ মিথ্যা বলছে, তা ধরতে পারলে ক্যাপ/ক্যাপিং বলে তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। সত্য বোঝাতে ব্যবহার করা হয় এর উল্টো, অর্থাৎ ‘নো ক্যাপ’। শব্দটির উৎপত্তি ১৯০৬ সালে প্রকাশিত মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক আলফ্রেড হেনরি লুইসের ‘কনফেশনস অব আ ডিটেকটিভ’ বইয়ে। ২০১৭ সালে এটি জনপ্রিয়তা পায়।
উদাহরণ: ১. কনসার্টের টিকিট তো ঠিকই পাইছিস, ইউ আর ক্যাপিং!
২. আজকের মধ্যে কাজটা শেষ করবই। নো ক্যাপ!
কুক (Cook)
কোনো ফলাফলের অভিপ্রায়ে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া, যাতে অন্য পক্ষ বিব্রত বা অস্বস্তিবোধ করে। সবচেয়ে পরিচিত বাক্য হলো ‘লেট হিম কুক’। অর্থাৎ সে এমন পরিস্থিতি তৈরি করুক, পরে যাতে বিব্রত বোধ করে।
উদাহরণ: অপেক্ষা করো, দেখি কী করে। লেট হিম কুক।
ডেলুলু (Delulu)
ইংরেজি ‘ডিলিউশনাল’ শব্দটির বিবর্তিত রূপ। উৎপত্তি মূলত কে–পপ সংস্কৃতি থেকে। শব্দটি ব্যবহার করা হয় অসম্ভব বা আকাশকুসুম মনোভাব বোঝাতে। বিশেষত কোনো সম্পর্কের বেলায় কারও আকাশকুসুম প্রত্যাশাকে বলে ডেলুলু। শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছে টিকটকে ‘ডেলুলু ইজ দ্য সোলুলু’ বাক্যাংশটি ভাইরাল হওয়ার পর। বাক্যাংশটির অর্থ ‘আত্মবিশ্বাসেই সব সমাধান’। এখানে ‘সোলুলু’ এসেছে ইংরেজি ‘সলিউশন’ শব্দ থেকে।
উদাহরণ: ইউ আর সো ডেলুলু।
ড্রিপ (Drip)
ট্রেন্ডি এবং উচ্চশ্রেণির ফ্যাশন বোঝাতে ব্যবহার করা হয় শব্দটি। ‘কুল’ শব্দের বিকল্প হিসেবেও ড্রিপ ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: কুল ড্রিপ! কোত্থেকে কিনেছ এটা?
এরা (Era)
কোনো ব্যক্তির বর্তমান আগ্রহ বা অগ্রাধিকার বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ধরা যাক, কেউ স্বাস্থ্যসচেতন হয়েছেন, তখন তিনি নিজেকে নিজের ফিটনেস এরায় আছেন বলে দাবি করতে পারেন।
উদাহরণ: সাবধান! আমি কিন্তু এখন আমার ভিলেন এরায় আছি।
ফ্লেক্স (Flex)
সোজা বাংলায় ভাব দেখানো। এই ভাব দেখানো হতে পারে যেকোনো বিষয়ে। হতে পারে নিজের অর্জন, গুণ কিংবা প্রভাবপ্রতিপত্তি নিয়ে। অর্থাৎ নিজের কর্মকাণ্ডের উৎকৃষ্টতার প্রকাশকে ফ্লেক্স হিসেবে গণ্য করা চলে।
উদাহরণ: ফ্লেক্স করছি না, এবার টেস্টে ৯৮ পেয়েছি!
গ্লো আপ (Glow-Up)
বিশেষ উন্নতি অর্থে। কারও বড় কোনো উন্নতি দেখলে সেটিকে ইঙ্গিত করে ‘গ্লো আপ’ ব্যবহৃত হয়। সেই উন্নতি হতে পারে পোশাক–পরিচ্ছদ, আত্মবিশ্বাস কিংবা স্টাইলে। এর উল্টো হলে ব্যবহার করা হয় ‘গ্লো ডাউন’।
উদাহরণ: ওদের গ্লো–আপে তো আমি মুগ্ধ!
গোট (GOAT)
এটি মূলত ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ (Greatest of all Time)–এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বাংলায় যাকে বলে ‘সর্বকালের সেরা’।
উদাহরণ: কী বললা? রোনালদো? ভাই, যত যা–ই বলো, মেসিই কিন্তু গোট!
আই ওয়াই কে ওয়াই কে (Iykyk)
এটি ‘ইফ ইউ নো, ইউ নো’ (If you know, you know)–এর সংক্ষিপ্ত রূপ। কোনো একটি বিষয়ে কেউ আগে থেকে অবগত থাকলে শব্দটি ব্যবহার করে তার ইঙ্গিত দেয়। ধরা যাক, বন্ধুকে আপনি এমন একটি মিম পাঠালেন, যেটি সরাসরি কিছু না বললেও বিশেষ কিছুর অর্থ প্রকাশ করে, যা আপনি জানেন। সে ক্ষেত্রে লিখতে পারেন Iykyk।
উদাহরণ: ঠিক এটা বলছি না, তবে...Iykyk!
লিট (Lit)
ইতিবাচক, মজার, বিস্ময়কর, দারুণ, চমৎকার বা ‘কুল’ অর্থে। এখন ‘কুল’-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয় লিট।
উদাহরণ: আজকের পার্টিটা লিট ছিল!
ওকে বুমার (OK Boomer)
১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁদের বলা হয় ‘বেবি বুমার্স’ বা ‘বুমার্স’ প্রজন্ম। এই প্রজন্মের গোঁড়া মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোকে বলে ‘ওকে বুমার’। বুমার প্রজন্মের কেউ যদি বদ্ধমূল ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকেন, তখন সেসব ধারণাকে পাত্তা না দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো অর্থে এই শব্দ ব্যবহার করে জেন–জিরা।
উদাহরণ: আপনার ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টা ভুয়া? ওকে বুমার!
পুকি (Pookie)
আদর করে পছন্দের মানুষ, বিশেষত বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষকে ডাকা হয় ‘পুকি’।
উদাহরণ: হ্যালো, মাই পুকি!
রেড ফ্ল্যাগ (Red flag)
সম্পর্কের বেলায় কারও ব্যাপারে বিপৎসংকেত। আসন্ন বিপদ বোঝাতে লাল পতাকার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। তেমনই সম্পর্কের বেলায় কারও ব্যবহারে বা কাজে যদি বিপদ বা ক্ষতির আভাস পাওয়া যায়, তাকে রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে গণ্য করা হয়।
উদাহরণ: ওর ব্যাপারে রেড ফ্ল্যাগগুলো আমার চোখেই পড়ল না!
রিজ (Rizz)
ইংরেজি ‘কারিজমা’ শব্দটি থেকে এসেছে ‘রিজ’। বাংলায় যেটা কারিশমা বা আকর্ষণী শক্তি কিংবা মাধুর্য। কারও কথা, চলনবলন বা ব্যক্তিত্ব কতটা আকর্ষণীয়, তা বোঝানো হয় ‘রিজ’ দিয়ে।
উদাহরণ: হি হ্যাজ অল দ্য রিজ।
সিম্প (Simp)
কারও প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল হয়ে পড়া। বিশেষ করে কোনো নারীর প্রতি বিশেষভাবে দুর্বল হয়ে পড়াকে বলে সিম্প।
উদাহরণ: ওই মেয়ের জন্য এত সিম্পিং বাদ দে তো! ও তো তোরে চেনেই না!
স্কিবিডি (Skibidi)
অতিরঞ্জিত কোনো কিছু কিংবা হাস্যকর। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুটি অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: গানটা পুরাই স্কিবিডি।
সাস (Sus)
সন্দেহজনক। ইংরেজি ‘সাসপেক্ট’ এবং ‘সাসপিশিয়াস’ শব্দ দুটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি দিয়ে কোনো বিষয়ে বা কারও ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণ: তোকে কিন্তু সাস লাগতেছে! ঘটনা কী?
টি (Tea)
পরচর্চা করা। নির্দিষ্ট কারও কিংবা কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা কিংবা পরচর্চা করা। মূলত চা খেতে খেতে আলোচনা থেকে ‘টি’ শব্দের এমন ব্যবহার শুরু।
উদাহরণ: সো, হোয়াটস দ্য টি?
(ঢাকাটাইমস/১৭ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন