মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার উত্তর পোমরা গ্রামের হাজারিখীল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম। মাচা পদ্ধতিতে সুস্বাদু তরমুজে ভরে গেছে খেত। বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে তার মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে সরে এসে ভিন্ন পদ্ধতি মাচায় তরমুজ চাষ করেন সাইফুল। মাচায় বাতাসে ঝুলছে ঝুড়ি ভরা তরমুজ। প্রথমবারেই ভালো ফলন এসেছে।
এই তরমুজ বেশ সুস্বাদু বলে জানান সাইফুল। ইতোমধ্যে অনেকে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। বাজারে অনেক চাহিদা, আর দামেও কম। অনেকে খেত থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের জন্য।
তরমুজ চাষি সাইফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, এ পর্যন্ত আট শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করার সম্ভব হবে।
তবে প্রথমে দিকে বেশির ভাগ মানুষ সাইফুলকে লোকসানের আশঙ্কা প্রকাশ করে নিরুৎসাহিত করেছিলেন। দমে যাননি সাইফুল। বলেন, ‘আমি চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছি।’
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীলের পরামর্শে সাইফুল তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। বীজও সংগ্রহ করেন তার কাছ থেকে। রোপণ থেকে ফলন আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক পাশে ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীল ঢাকা টাইমসকে বলেন, কৃষক সাইফুল তার প্রচেষ্টায় একজন সফল চাষি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এলাকায় তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিশাল সফলতা বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ যুবকদের আহ্বান জানাব, সাইফুলের মতো যেন এ ধরনের লাভজনক ফসল চাষাবাদে এগিয়ে আসেন। আগ্রহীদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/মোআ