দুই দফা রিমান্ড শেষে আ স ম ফিরোজ কারাগারে
দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এই আদেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া নামে এক যুবক গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় গত ২৪ আগস্ট তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই রিমান্ড শেষে একই মামলায় গত ৩১ আগস্ট পুনরায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সর্বশেষ হওয়া ৩ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান।
রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি আ স ম ফিরোজকে রিমান্ডে প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির নিকট থেকে মামলাটির তদন্তে সহায়ক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাইবাছাই করে দেখা হচ্ছে।
আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় গত ২৪ আগস্ট দায়ের হওয়া চুরি, গুরুতর আঘাত ও হত্যাচেষ্টার মামলায় এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে ধারণা হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অতিগুরুত্বপূর্ণ এবং চাঞ্চল্যকর মামলা বিধায় অতিগুরুত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তাই উল্লেখিত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
পুনরায় রিমান্ড আবেদন না থাকায় এদিন শুনানির সময় আসামি ফিরোজকে আদালতে ওঠানো হয়নি। তাকে আদালতে হাজতখানায় রাখা অবস্থায় শুনানি হয়।
ফিরোজের পক্ষে তার আইনজীবী কামাল হোসন বিশ্বাস জামিন আবেদন এবং চিকিৎসার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/ইএস