যুক্তরাষ্ট্রে ফাহিম সালেহ হত্যা: ঘাতক হাসপিলের ৪০ বছরের কারাদণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা ‘পাঠাও’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ হত্যায় অভিযুক্ত টাইরেস ডেভোন হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মর্কিন আদালত।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালত তাকে এ সাজা প্রদান করেন।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডের হিউস্টন স্ট্রিটে নিজ ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন হন ফাহিম সালেহ। সালেহর চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিল। সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। অর্থ চুরির ঘটনা লুকাতে ফাহিমকে হত্যার পর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে তার দেহ টুকরো টুকরো করেন হাসপিল। এই ঘটনার পরপরই হাসপিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। প্রায় চার বছরের শুনানির পর চলতি বছরের ম্যানহাটন সুপ্রিম কোর্টের জুরিবোর্ড হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
আদালতে হাসপিল জানিয়েছিলেন, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন তিনি। পরে সেই ঘটনা আড়াল করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। তবে বিচারক হাসপিলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার আদালতে প্রায় এক ঘন্টা যুক্তিতর্ক শেষে হাসপিলকে ৫০ বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত দেয় জুড়ি বোর্ড। তবে পরে ১০ বছর কমিয়ে তাকে ৪০ বছরের সাজা দেয়া হয়।রায়ের সময় বিচারক বলেন: ফাহিম সালেহ একজন দয়ালু, উদার ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তি; যিনি বিশ্বকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। এই রায় ফাহিম সালেহকে ফিরিয়ে আনতে না পারলেও তার পরিবার এবং স্বজনদের দুঃখ কিছুটা হলেও কমাবে।
ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ তরুণ বয়সেই তিনি পশ্চিমা মিডিয়ায় টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের প্রযুক্তি প্রতিভার প্রমাণ দেন এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিসপুরের আইবিএমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের ছেলে।
(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এমআর)