সাবেক গভর্নর, সালমান এফ রহমানসহ বিআইএফএফএলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ১২ জনের নামে মামলা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) সাবেক ও বর্তমান ১০ কর্মকর্তা।
রবিবার বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. ফরমানুল ইসলাম এ মামলা করেন।
বাদীকে বল প্রয়োগ করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করানো, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রাক্তন পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এখলাছুর রহমান, প্রাক্তন কোম্পানী সচিব মনিরুল ইসলাম খান, প্রাক্তন পরিচালক আবু হেনা মো. রহমতুল মুমিন, খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাজ্জাদ হাসান, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস, এম, আনিসুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অফ ক্রেডিট শেখ আনোয়ার সাদাত, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সুজিত বসাক, প্রিন্সিপাল অফিসার আমির নাদিম ও খোন্দকার রিয়াজুল হক।
মামলার বাদী ফরমানুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাদীকে বল প্রয়োগ করে সালমান এফ রহমানের তিস্তা সোলার প্রকল্পে ১৪০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণ প্রস্তাব দিতে বলেন। কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে সাবেক গভর্নর রউফ বাদীর ওপর ক্ষেপে যান।
এরপর সেই প্রকল্পের অনুকূলে ২০০ কোটি টাকা জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগ করার কথা বলে সেই টাকা আগাম ঋণ হিসেবে চাইলে বাদী পর্যাপ্ত ফান্ড নেই বলে জানান। এতে আবারও বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হন সাবেক এই গভর্নর।
পর্যায়ক্রমে অবৈধ সুবিধা চাইতে থাকলে তাতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা বাদীকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এতে বাদীর অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি, সামজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজে)