মুক্তির দিশারী মহানবীর আদর্শ মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুসরণীয়: প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিমকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্ববাসী তথা বিশ্বের সকল মুসলিমের জন্য অত্যন্ত পবিত্র মহিমান্বিত দিন।
সোমবার হিজরি বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। এদিন বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করবেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা রবিবার এক বাণী দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’
‘মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত মুহাম্মদকে (দ.) বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (দ.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন— হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি। (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহানবী এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (দ.) অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’
‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষ্যে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেণ, ‘মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মহানবী (দ.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।’(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/এমআর)