জয়ের বিরুদ্ধে তথ্যফাঁসের মামলায় কুবি উপাচার্যও আসামি
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করে মামলার একজন আসামি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এনামুল হক (৩৯) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা জানান, মামলায় ১৯ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে ১১ নম্বর আসামি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। এসব তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এ মামলায়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক ডাটা সেন্টার পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সাইবার নিরাপত্তা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মু. আশরাফ হোসেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেনেন্ট কর্নেল অব. রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব রেজাউল ইসলাম, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহফুজুল, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সিস্টেম এনালিস্ট অলিউল হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক উপসচিব তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক সরওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক আব্দুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার, সিদ্দীকুর রহমান।
এ বিষয়ে বাদী এনামুল হক বলেন, 'এজাহারে আমি আমার বক্তব্য দিয়েছি। সেটিই আমার বক্তব্য।'
এ ব্যাপারে জানতে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
(ঢাকাটাইমস/৯অক্টোবর/মোআ)