শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মামলা

কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর একটায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন আমার দেশ সম্পাদক।
মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি মেহেদী হাসান, মডেল থানার তৎকালীন ওসি নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ মোট ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫-২০ জনকে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর হক চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমার ওপর হামলার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দিল্লি থেকে দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’ উপযুক্ত শাস্তি হলে দেশে আর কোনো সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণ করতে সাহস পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১৮ সালের ২২ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়ার আদালত থেকে মানহানির একটি মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা করে আওয়ামী ছাত্রলীগ। আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়ার সময় লাঠি ও ইটের আঘাতে আহত হন তিনি। তাকে বহনকারী গাড়ির গ্লাসও ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। পরে বিকেল ৫টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদুর রহমান ও তার সহযোগীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়া আদালতে গিয়েছিলেন আমার দেশ সম্পাদক।
ওই মানহানির মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদ ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার ওপর হামলা চালায় তারা। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিজের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে গুরুতর রক্তাক্ত আহত হন মাহমুদুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন