চলাচলের পথ আটকে নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে বিপাকে এক পরিবার

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগিতায় একটি পরিবারের চলাচলের পথ আটকিয়ে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ‘শতনীড়’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের দ্বারস্ত হলেও তার কোনো সুরাহা মিলেনি। সরকার পরিবর্তনের পরও পৌরসভাকে জানালে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া নিজ উদ্যোগে সম্প্রতি প্রাচীরটি ভেঙে ফেলে বিপাকে পড়েছে ওই পরিবারটি।
শনিবার বিকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন শহরের ঝিলটুলী এলাকার ফাত্তাহুল ইসলাম ফাত্তাহ নামে এক বাসিন্দা। তিনি শহর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
ফাত্তাহুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ির সামনে খালি প্লটটিতে শতনীড় গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দশতলা ভবন নির্মাণ করে এবং অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর গড়ে তোলে। ফলে তার বাড়ির সামনের মূল ফটকটি বন্ধ হয়ে যায়। যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শতনীড় তৎকালীন আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এই অবৈধ প্রাচীরটি গড়ে তুলেছিল। বিগত সরকারের আমলে তৎকালীন ডিসি ও এসপির নিকট অভিযোগ করলেও এর কোনো সমাধান পাইনি। এরপর ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর তাদেরকে (শতনীড় গ্রুপ) প্রাচীরটি ভেঙে ফেলতে বলার পরও তারা প্রাচীরটি ভাঙেনি। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে গত ২৯ শে অক্টোবর নিজ উদ্যোগে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাচীরটি ভেঙে ফেলি।
এরপর শতনীড় কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপিকে দায়ী করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিএনপির রাজনীতিতে তিনি কোনো পদ পদবীতে নেই, কেবল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রয়েছেন। প্রাচীরের বিষয়টি একান্তই পারিবারিক বিরোধ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এই দেয়াল ভেঙে ফেলার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির সঙ্গে জড়িয়ে শতনীড় প্রতিষ্ঠানটি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সম্প্রতি যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শতনীড় প্রতিষ্ঠান এবং আমার বাড়ির সামনের যে রাস্তাটি হয়েছে এর মালিক তিনজন। উল্টো শতনীড় প্রতিষ্ঠান আমার বাড়ির পেছনের অংশের দেয়ালের ওপরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভবনের দেয়াল নির্মাণ করেছে।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের মরহুম এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার আপন বোন শরিফা বেগম, বিলকিস আরা বেগম, ভাই মতিন উদ্দিন আহমেদ, শাহ মোহাম্মদ সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/্এস

মন্তব্য করুন