নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাইয়ের পর ‘বিশেষ ক্ষমতা’ হারাচ্ছেন গম্ভীর!
উড়তে থাকা ভারতকে মাটিতে নামিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১২ বছর পর সিরিজ হারের পর ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সমালোচনা চলছেই। দলের বাজে পারফরম্যান্সের খেসারতও দিতে হচ্ছে তাকে। বিসিসিআই তার ক্ষমতা সীমিত করতে পারে বলে সংবাদ প্রকাশ করছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।
বেশ ধুমধাম করেই প্রধান কোচের দায়িত্বে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল গম্ভীরকে। তবে নিয়োগের তিন মাসের মধ্যেই কিউইদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হলো ভারত। গম্ভীরের অধীনে ২৪ বছর পর নিজেদের মাঠে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেলো টিম ইন্ডিয়া। এছাড়া ২৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার শ্রীলঙ্কার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে তারা।
গত ৬-৭ বছর ধরে বারবারই স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যর্থ হচ্ছে ভারতের টপ-অর্ডার। এমনকি গম্ভীরের ক্রিকেট কৌশল নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল মোহাম্মদ সিরাজকে। এছাড়া প্রথম ইনিংসে সরফরাজকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়েছিল ৮ নম্বরে, যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এসব কারণে হেড কোচ হিসেবে গম্ভীরের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে ভারত।
বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির উপর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের এই সিরিজে জিততে হবে ভারতীয়দের। গম্ভীরের উপরও চাপ থাকবে প্রবল। নিজেকে প্রমাণ করার এটাই সেরা সুযোগ তার জন্য। আর ব্যর্থ হলো বিসিসিআইয়ের তোপের মুখে পড়বেন গম্ভীর, এটাও প্রায় নিশ্চিত।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্যর্থ হলে গম্ভীরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে বিশেষ ক্ষমতা। যা রবি শাস্ত্রী ও রাহুল দ্রাবিড়ের মতো স্বনামধন্য কোচকেও দেয়নি বিসিসিআই। অথচ গম্ভীরের হাতে শুরু থেকেই সেই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল।
দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গম্ভীরের মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বিসিসিআই। গুরুত্ব বললেও ভুল হবে, গম্ভীর যা বলতেন, সেটাই করতো বোর্ড। অথচ দ্রাবিড় ও শাস্ত্রী ভারতের কোচ থাকাকালীন দল নির্বাচনের বিষয়ে তাদের মতামতকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না।
বিসিসিআইয়ের সংবিধান যে গম্ভীরকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে তা নয়। সেখানে কোচের বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে কিছুই নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে গম্ভীরকে ছাড় দেয় বিসিসিআই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হার্দিক পান্ডিয়াকে টপকে সূর্যকুমার যাদবের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার পিছনেও গম্ভীরের হাত ছিল। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া সফরে কেকেআরের পেসার হার্ষিত রানার নির্বাচিত হওয়ার পিছনেও গম্ভীরের মতামতই স্বীকৃতি পায় বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দল যদি ব্যর্থ হয়, তবে গম্ভীরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে দল নির্বাচনের বিশেষ ক্ষমতা।
(ঢাকাটাইমস/ ০৪ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন