বেনাপোল বন্দরে অকেজো স্ক্যানিং মেশিন, বাড়ছে মাদক ব্যবসা

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১| আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১
অ- অ+

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে কয়েক শ অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো ঠিকমতো তদারকি করা হয় না। নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে পাঁচ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন। এই সুযোগে বন্দরের অভ্যন্তরে মাদক কারবারিরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘটছে চুরির ঘটনাও।

নিরাপত্তা সংস্থা আনসার, পিমা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন– এই তিন সংস্থার কর্মীরা থাকার পরও চলছে মাদকের কারবার। ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে অপরাধীরা।

শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মাদক পাচারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে মামলা হয়েছে। এদিন বিকালে বন্দরের ৫ নম্বর গেটে চোরাকারবারিকে ধাওয়া দিয়ে ৪৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেন বন্দরের আনসার সদস্যরা। তবে পালিয়ে যায় পাচারকারী।

এর আগে গত ২ জুলাই বন্দরের কাঁচামাল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হয় ৯৯ বোতল ফেনসিডিল।

বন্দরের একটি সূত্র বলছে, বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পাচার রোধে ১৭৫টি অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তদারকির গাফিলতি থাকায় মাদক পাচারের ঘটনা ঘটছে। ফলে অপরাধী ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আনোয়ার আলী আনু জানান, চোরাকারবারিরা কখনো ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে, আবার কখনো সীমান্ত পথে ফেনসিডিল নিয়ে বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। পরে কৌশলে বিভিন্ন পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাকে ফেনসিডিল তুলে দেয়। আর হয়রানির শিকার হন চালক, আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের নিরাপত্তায় ১৬৩ জন আনসার, ৪২ জন আর্মড পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমার ১২৯ জন কর্মী আছেন। রয়েছে ৩৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যা দিয়ে বন্দরের চারপাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়। এ ছাড়া সরকারের গোয়েন্দাও রয়েছে সেখানে। এরপরও ঘটছে চুরির ঘটনা।

চলতি সপ্তাহে বন্দরের ডিটিএম অফিসে বসানো দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন চুরি হয়। তবে এই অপরাধী এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। যদিও এ ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থা পিমার সদস্যদের বিরুদ্ধে বন্দর প্রশাসন পুলিশে অভিযোগ করেছে।

বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, নষ্ট স্ক্যানিং মেশিন দ্রুততম সময়ে চালু করা দরকার। এছাড়া বন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়মিত তদারক করাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বশীল হলে বন্দর অভ্যন্তরে মাদকের কারবার বন্ধ সহজ হবে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, বন্দরের নিরাপত্তায় আনসাররা কাজ করছেন। বন্দরের তিনটি স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে দাঁতভাঙা জবাব’ 
রাঙ্গাবালীতে নিখোঁজের ১১ দিন পর ঝোপঝাড়ে থেকে বৃদ্ধের কঙ্কাল উদ্ধার
ড. ইউনূস ৩০ জুনের পর একদিনও দায়িত্বে থাকতে চান না: প্রেস সচিব
আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা