বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ‘দুঃখিত’ রিজভী
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই বক্তব্যকে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রচার হচ্ছে।’
রিজভীর দাবি, ‘আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে, সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত ছবিটি নামানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের কোনো চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।’
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে রিজভী বলেন, ‘আমি মনে করি, বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলে। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেন। জিয়াউর রহমান কিন্তু বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি ফিরিয়ে আনেন।’
গত রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হন নতুন তিন মুখ ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজ আলম। এদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
ওইদিন রাতেই শপথ কক্ষে শেখ মুজিবের ছবি টানানো নিয়ে আপত্তি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় পরদিন সকাল থেকেই।
তারই জেরে সোমবার বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলেন নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তাতে শুরু হয় আরেক বিতর্ক। কেউ কেউ বিষয়টা সমর্থন করলেও অনেকে আবার মন্তব্য করেন, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো উচিত হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন