দেশের অর্থনীতিতে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অবদানের সুযোগ রয়েছে: সিভাসু উপাচার্য

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪১| আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০০
অ- অ+

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইসেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ভৌগোলিক আর্থসামাজিক বা দেশের যেকোনো প্রেক্ষাপটে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের কাজ করার ক্ষেত্র আছে। এই ডিপার্টমেন্টের দেশের অর্থনীতিতে অবদানের সুযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের এক যুগপূর্তি, ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ফিডব্যাক এবং ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সিভাসু অডিটরিয়ামে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদের সভাপতিত্বে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল, ফুড সাইন্স ও নিউট্রিশিয়ান ডিপার্টমেন্টের ডিন ড. ফেরদৌসী আকতার, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, মেরিডিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান কোহিনুর কামাল, নিরিবিলি গ্রুপের পরিচালক সালেহিন রহমান মুহিয়ান, এসিআই লিমিটেডের হেড অব বিজনেস (এসিআই এনিমেল হেলথ্) ডা. মোহাম্মদ আমজাদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

সিভাসু উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিপার্টমেন্ট সুপার টেকনিক্যাল। এখানে হাতে কলমে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কারও হাতে-কলমে শিক্ষায় দুর্বলতা থাকলে, সে টেকনিক্যাল জ্ঞান অর্জনে পিছিয়ে পড়বে। সেজন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্র্যাক্টিক্যাল জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টার্নশিপের আয়োজন করে থাকে।

তিনি বলেন, ব্লু-ইকোনমির সর্বোচ্চ যে সুবিধা আমাদের পাওয়ার কথা তা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। ব্লু-ইকোনমি সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে এ ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরো এগিয়ে যেতে পারত। মানুষের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফিশারিজ একাডেমির শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে ১৯ কোটি মানুষের প্রোটিনের অভাব পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, তোমরা হলে নতুন জেনারেশন। তোমাদের রয়েছে অফুরন্ত মানসিক শক্তি। প্রযুক্তি নির্ভর আগামী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তোমাদেরকেও প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। এ ডিপার্টমেন্টে পড়ালেখা করে নতুন নতুন মাছের প্রজাতি, চাষ পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী বিষয়ে জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজেদেরকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

(ঢাকা টাইমস/১৪জানুয়ারি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাবেক এমপি শেখ হেলালের ব্যক্তিগত সহকারী মুরাদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ আজ
লাইটার জাহাজ সংকট কাটাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ 
বিমানবন্দরে প্রবাসীর অর্থ লোপাট, আটক ২
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা