বাবর ও রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে উদযাপনের রহস্য জানালেন সাজিদ

উইকেট পেলেই বিশষে এক ভঙ্গিতে উদযাপন করেন পাকিস্তান স্পিনার সাজিদ খান। ডান পা তুলে ঊরুতে ডান হাত রেখে বাঁ হাতের তর্জনী উঁচিয়ে ধরা- এটাই সাজিদ খানের ট্রেডমার্ক উদযাপন। পাকিস্তানি স্পিনারের এই উদযাপন ক্রিকেটবিশ্বে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটের ভক্ত সমর্থকদের কাছে সাজিদ খানের এই উদযাপন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
স্পিনিং উইকেটে ইদানিং পেস বোলারদের ছাড়াই খেলছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তো টানা বল করে ইতিহাসই গড়েছিলেন দুই স্পিনার সাজিদ খান এবং নোমান আলী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুলতান টেস্টেও পাকিস্তানের জয়ের নায়ক স্পিনাররাই। একমাত্র পেসার হিসেবে একাদশে থাকা খুররম শাহজাদ বল করেছেন মোটে এক ওভার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে তিনদিনেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই টেস্টটিই পাকিস্তানের মাঠে সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুড়িয়ে দিতে সাজিদ খান রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। দুই ইনিংস মিলে শিকার করেছেন ৯ উইকেট। তাতে সাজিদের ট্রেডমার্ক উদযাপন বেশি বেশিই দেখার সুযোগ পেয়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা।
তবে মুলতান টেস্টে সাজিদের উদযাপন পেয়েছে বিশেষ এক মাত্রা। কারণ মাঠে এই উদযাপনে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই সেরা ব্যাটার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান।
উইকেট শিকারের পর সাজিদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন বাবর-রিজওয়ান। সাজিদের দুই পাশে দাঁড়িয়ে তার মতোই উরুতে এক হাত রেখে আরেক হাতের আঙুল আকাশে তুলে ধরেন এই দুই ব্যাটার। তবে রিজওয়ান ভুলে ডান পায়ের জায়গায় বাঁ পা তুলে দাড়িয়েছিলেন।
ম্যাচ শেষে সাজিদ জানিয়েছেন তার সঙ্গে উদযাপনে বাবর-রিজওয়ানের যোগ দেয়ার কারণ। ম্যাচের আগেই তিনি ড্রেসিং রুমে জানিয়েছিলেন, এবার ৫ উইকেট শিকার করলে বাবর ও রিজওয়ানকে দিয়ে একইভাবে উদযাপন করাবেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাজিদ বলেন, ‘সবাই আমার উদযাপন অনুকরণ করে, সেটা দর্শকদের মাঝে ক্ষুদেরা থেকে ড্রেসিংরুমে কামরান গুলামও। আমার ইচ্ছা হলো পরের ইনিংসে ৫ উইকেট পেলে বাবর ও রিজওয়ানকে দিয়েও একইভাবে উদযাপন করানো।’
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ৪ উইকেটই শিকার করেছিলেন সাজিদ। দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও নোমান আলীর সঙ্গে জুটি বেঁধে ত্রাস ছড়িয়েছিলেন। প্রত্যেকবারই একইভাবে উদযাপন করতে দেখা গেছে তাকে।
বিশেষ এই উদযাপনের পেছনের গল্পটাও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন সাজিদ, ‘আমার উদযাপনের পেছনের গল্প হলো, যখনই ক্রিকেট খেলেছি, পারফর্ম করেছি এবং বাদ পড়েছি। স্কুল ক্রিকেট থেকে সব জায়গায়, অনূর্ধ্ব–১৩ ও অনূর্ধ্ব–১৬ এবং পেশোয়ারে...এগুলো আমাকে প্রেরণা দিয়েছে এবং এভাবে উদযাপন শুরু করি।’
সাজিদের উদযাপনকে অনেকেই ভারতের সাবেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানের অনুকরণ বলে মনে করেন। তবে সাজিদের দাবি ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘সবারই নিজস্ব ধরন আছে এবং লোকে বলে আমি শিখর ধাওয়ানের উদযাপন অনুকরণ করি। আমি এমন উদযাপন স্কুল ক্রিকেট থেকে করে আসছি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই উদ্যাপনের জন্য দুবার জরিমানাও দিতে হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৯ জানুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন