সিভিল প্রশাসন একাডেমি

কেনাকাটার নামে হরিলুট! পকেট মাইক্রোফোন ৮৫ হাজার, কাঁটাচামচ ৩০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৮
অ- অ+

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ সিভিল প্রশাসন একাডেমিতে কেনাকাটার নামে হরিলুট হয়েছে। গতবছরের জুন মাসে কেনা প্রতি পিস চেয়ার ৩০ হাজার টাকা, টেবিলের দাম ৭০ হাজার, পকেট মাইক্রোফোন ৮৫ হাজার এবং একটি কাঁটা চামচের দাম ধরা হয়েছে তিনশ টাকা।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক কেনাকাটায় এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তিনি অফিসেই বাসা বানিয়ে পরিবারসহ থাকেন। তাছাড়া সারাবছর সেখানেই ফ্রি খাবার খান এবং রান্নার কাজে মুক্তা ব্যাণ্ডের বোতলজাত পানি ব্যবহার করেন। ওমর ফারুক ও তার পরিবারের ব্যবহারের জন্য দুইটি সরকারি গাড়ি বরাদ্দ নিয়েছেন।

প্রশ্ন আসছে, বিসিএস প্রশাসন একাডেমি সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে বিলাসিতা করার সুযোগ বা মূল্যবান সামগ্রী কেনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

সোমবার রাতে সিভিল প্রশাসন একাডেমির কেনাকাটার বেশকয়েকটি নথি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একি হরিলুট নাকি? বিসিএস প্রশাসন একাডেমি এর রেক্টর( সচিব) জুন, ২০২৪ সালে — ১টি কাটা চামচ কিনেছেন ৩০০ টাকায়, চেয়ার ৩০ হাজার টাকা, টেবিল ৭০ হাজার, পকেট মাইক্রোফোন ৮৫ হাজার টাকা..কি কান্ড রে ভাই!’

কাগজ ঘেটে দেখা গেছে, ‘দ্য কানেকশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ফার্নিচার কেনা হয়েছে। আলমারি, সোফা, টেবিল-চেয়ার, ডাইনিং টেবিল, স্টিলের আলমিরা সবই উচ্চমূল্যে কেনা হয়েছে। যেখানে ১৩ ধরণের ফার্নিচার কেনায় খরচ করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অফিসের প্রয়োজনে ইয়োগার ম্যাট, হ্যান্ডটাওয়েল, ফ্লোর পরিস্কারের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, পকেট মাইক্রোফোনসহ ২৩টি পণ্য কেনা হয়েছে। যার খরচ ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। এরমধ্যে পকেট মাইক্রোফোনের খরচ ধরা হয়েছে প্রতিপিস ৮৫ হাজার টাকা। যা কেনা হয়েছে ছয়পিস।

এছাড়া জুসার ব্লেন্ডার, ভাতের চামচ, কাটা চামচ, দস্তার কড়াই, অ্যালুমিনিয়ামের গামলা, জগ, ইলেকট্রিক কেটলিসহ ২৫ ধরণের জিনিস কিনেছে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি। যেখানে সবকিছুর দাম বেশি দেখিয়ে বিল করা হয়েছে। এসব পণ্য কিনতে খরচ হয়েছে ১২ লাখ ৬ হাজার ৩১০ টাকা।