শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের টানা শিরোপা জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫৩| আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৭
অ- অ+

একেই হয়তো বলে পয়সা উসুল ম্যাচ। বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে চিটাগং কিংস। এদিন মিরপুরে একটু পর পরই বদলেছে ম্যাচে চরিত্র। কখনও জয়ের পাল্লা ভারী ছিল বরিশালের, আবার কখনও চট্টগ্রামের। তবে শেষ হাসিটা হেসেছে বরিশালই। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করে বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বরিশাল। তবে কই ওভারে কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে গেলে চাপে পড়ে বরিশাল। তবে শেষ ওভারের নাচকীয়তায় ৩ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখেই বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দলটি।

ফাইনালে বরিশালের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। ব্যাটিংয়ে নেমেই চিটাগংয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অন্যপ্রান্তে থাকা তাওহীদ হৃদয় দেখেশুনেই খেলতে থাকেন।

এই জুটিতে ভর করে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তুলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রান তাড়ায় নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন তামিম ও হৃদয়। ৫.৪ ওভারে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন তারা দুজন। বিপিএলের ফাইনালে রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে এটাই প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটি। যেকোন উইকেট বিবেচনায় এটি অষ্টম পঞ্চাশ ছোঁয়া রানের জুটি।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকা তামিম ফাইনালে ২৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৭৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বরিশালের।

চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেভিড মালান আজ ফাইনালে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ফাইনালে তিনি মাত্র ১ রান করেই শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৭৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল।

৭৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। তবে বেশিদূর এগোনোর আগেই এই জুটিকে থামান নাঈম ইসলাম। নাঈম ইসলামের বলে আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ২৮ বলে ৩২ রান করা তাওহীদ হৃদয়। তার বিদায়ে ভাঙে ১৮ রানের জুটি।

তাওহীদ হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন কাইল মেয়ার্স। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মুশফিক। ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তামিমের দল।

মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন কাইল মেয়ার্স। এই জুটিতে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বরিশাল।

কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্সকে সাজঘরে পথ দেখান শরিফুল। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি।

এক বল পরে কট আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এতে শেষ ১২ বলে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান। ১৯তম ওভারে ১২ রান তোলে বরিশাল। এতে ৬ বলে বরিশালে দরকার ছিল ৮ রান। ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ ড্র করেন তিনি। তৃতীয় বলটি ওয়াইট করলে জয়ের উল্লাসে ভাসে বরিশাল।

চিটাগংয়ের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাঈম হাসান দুটি ও বিনুরা ফার্নান্দো এক উইকেট শিকার করেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/০৭ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস আজ
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে: নীরব
মানিকগঞ্জে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হাসপাতালে
দ্রুত নির্বাচন দিলে সংস্কারও দ্রুত হবে: টুকু 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা