চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান-ভারত

ফুটবলে যেমন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ মানেই বাড়তি এক উত্তেজনা, ক্রিকেটেও ঠিক একই অবস্থা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আলাদা এক আবহ বিরাজ করে। ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন এই দুই দলের লড়াই দেখার জন্য।
তবে ২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন বন্ধ হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানের দেখা হয় শুধু আইসিসির ইভেন্টগুলোতে। যে কারণে আইসিসি আয়োজিত এমন কোনো ম্যাচ আসলেই উৎসুক দর্শকের মনে শুরু হয় উত্তেজনা।
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ। হারলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়তে হবে পাকিস্তানকে।
রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়। পাকিস্তান সফরে নিজ সরকারের অনুমতি না থাকায় এ ম্যাচটি দুবাইয়ে খেলছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দুবাই স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার দর্শক সমাগম হবে এবং লাখ-লাখ দর্শক টেলিভিশনে বসে এই হাইভোল্টটেজ ম্যাচটি দেখবে।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারনে শুধুমাত্র আইসিসির ইভেন্টেই মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি দু’দল। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের জন্য সর্বশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল ভারতীয় দল।
তাই আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ নিয়ে সারাবিশ্বের লাখ-লাখ ভক্তদের আগ্রহ, উন্মদনা থাকে আকাশ ছোঁয়া। বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে এ ম্যাচের সব টিকিটি শেষ হয়ে যায়।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে হেরে যাওয়ায় চাপের মধ্যে থেকেই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে পাকিস্তান। আট জাতির টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের পথে টিকে থাকতে হলে ফেভারিট ভারতকে হারাতে হবে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি রান রেট ভালো থাকায় এই গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করায় নিউজিল্যান্ডের সমান ২ পয়েন্ট আছে ভারতের। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে টিম ইন্ডিয়া। টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে বাংলাদেশ এবং চতুর্থস্থানে আছে পাকিস্তান। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে।
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে আহমেদাবাদে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল পাকিস্তান- ভারতের। ওই ম্যাচে স্বাগতিক ভারত ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল।
ভারতের কাছে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যাবে পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এই প্রথম আইসিসি ইভেন্টে স্বাগতিক হবার সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান।
ওয়ানডেতে জয়ের দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে ভারত। এখন পর্যন্ত ১৩৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় ৭৩টিতে, ভারতের জয় ৫৭টিতে। টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৩ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন