আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড, সুপার ওভারে শূন্য রানেই অলআউট

বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার বৃষ্টি। সেটা যদি হয় সুপার ওভার তাহলে তো ম্যাচের পারদ উঠে যায় তুঙ্গে। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখতেই অপেক্ষা করেন সমর্থকেরা। কিন্তু গতকাল মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বাহরাইন ও হংকং ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন এক ঘটনা। হংকংয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে কোনো রান না করেই গুটিয়ে যায় বাহরাইন, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম।
মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে শুক্রবার (১৪ মার্চ) হংকংয়ের মুখোমুখি হয় বাহরাইন। আগে ব্যাট করা হংকং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে সমান রান করে বাহরাইনও। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে বাহরাইন কোনো রান না করতেই ২ উইকেটই হারিয়ে ফেলে। জবাবে ৩ বলে প্রয়োজনীয় রান করে তারা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে সুপার ওভারে সর্বনিম্ন রান ছিল ১। গত বছর বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় সুপার ওভারে এই রান করেছিল আফগানিস্তান।
সে ম্যাচে প্রথম সুপার ওভারে দুই দলই ১৬ রান তোলে। ফলে ম্যাচের মীমাংসার জন্য ফের সুপার ওভারের প্রয়োজন হয়। এই দফায় ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১১ রান করে। জবাবে ১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় আফগানরা। সুপার ওভারের নিয়ম অনুসারে, কোনো দলের সর্বোচ্চ ২টি উইকেটই পড়তে পারে।বাহরাইন এদিন সুপার ওভারে আগে ব্যাট করেছে। প্রথম বল ডট হওয়ার পর পরের৫ দুই বলেই উইকেট পড়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুপার ওভারে প্রথম মেডেন দেয়ার ইতিহাস গড়েন হংকংয়ের পেসার ইহসান খান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুপার ওভারে এমন কীর্তি নতুন হলেও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। প্রথম দৃষ্টান্তটি ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন লিগের।
দিল্লিতে সাসেক্সের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঈগলসের হয়ে সিজে ডি ভিলিয়ার্স সুপার ওভারে মেডেন দিয়েছিলেন। সুপার ওভারে মেডেন দিয়েছেন সুনীল নারিনও। ২০১৪ সালের সিপিএলে গায়ানা অ্যামাজান ও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড স্টিলের মধ্যকার সে ম্যাচে গায়ানার হয়ে খেলেছিলেন। তার করা সেই সুপার ওভারে প্রথম ৪ বল মেডেন দেন নারিন। পঞ্চম বলে আউট হন নিকোলাস পুরান। শেষ বলটি ডট দেন রস টেলর।
(ঢাকাটাইমস/১৫ মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন