দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে শিগগিরই অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, 'দখল হওয়া পাবলিক স্পেস উদ্ধারে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করবে ডিএনসিসি। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খাস জমিগুলো উদ্ধার করে ছোট ছোট পাবলিক স্পেস করে দিব। ডিএনসিসির সব খেলার মাঠ ও পার্ক সার্বক্ষণিক তদারকি জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোন ব্যক্তি, ক্লাব বা সংস্থা বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠ ও পার্ক ব্যবহার করতে পারবে না। পার্কের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করে একটি কমিটি করে তদারকি করবে।'
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মধুবাগ কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে মশার উৎপাত, ফুটপাত বেদখল, স্ট্রিট লাইট সচল না থাকা, জলাবদ্ধতা, খাল উদ্ধার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, খেলার মাঠ ও সড়ক মুক্ত করার দাবি করেন স্থানীয়রা।
হকাররা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে কয়েকজন নাগরিক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় বলেন। জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফুটপাত ও রাস্তা দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে ফুটপাত ও রাস্তায় কোন ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। সড়কের দুইপাশে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে স্থায়ী ভাবে।'
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকের কারণে রাস্তায় চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দ্রুত এগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কয়েকজন নাগরিক। জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে ইতিমধ্যে ডিএমপি ট্র্যাপার (বিশেষ ফাঁদ) লাগানো শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে আইন না মেনে অনেকে ট্র্যাপার উপেক্ষা করে অটোরিকশা চলাচলের চেষ্টা করছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। কার্যকরী ট্র্যাপার বসানোর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।'
তিনি বলেন, 'জনগণের চাওয়া পাওয়ার সাথে সিটি কর্পোরেশনের কাজের মিল হলে সফলতা আসবে। সেজন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শগুলো সরাসরি জানতে আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচ্ছি। আপনারা যেগুলো তুলে ধরেছেন এর বাহিরে আরও যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো আপনারা আমাকে লিখিত আকারে দেন। আমাদের ফেসবুক পেইজে লিখেন। আমরা ব্যবস্থা নিব। সবার ঢাকা অ্যাপ'টি দ্রুতই চালু করা হবে। সেখানেও আপনাদের অভিযোগ জানাবেন। আপনাদের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময় পরে আমি আবার আপনাদের কাছে আসবো। তখন আপনারা আমাকে জবাবদিহিতার জন্য ধরতে পারবেন।'
নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয় না উল্লেখ করে এক নাগরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলেন। জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক জানান 'মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নির্দিষ্ট এরিয়া ভিত্তিক কাজের যে দায়িত্ব দেওয়া হবে নাম ও ফোন নম্বরসহ সেটির তালিকা ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে। আপনাদের এলাকায় কাজ না করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া যাবে। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গণশুনানিতে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, কর কর্মকর্তা মো. শাহেদ জোহার, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন নেছা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন