প্রাইমএশিয়ার শিক্ষার্থী হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতর নাম হৃদয় মিয়াজি (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব। সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে, গত রবিবার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।
তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। গতকাল সোমবার এই তিনজনকে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
এরআগে শনিবার বিকালে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় একইদিন রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি আরও ২৫-৩০ জন।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন