কবির-মুসার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের ঘটনায় হত্যা মামলা

গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিয়াদ হাসান নামের একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কবির আহমেদ ও মুসা আহমেদসহ ৪৮২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল মৃত জিয়াদ হাসানের ভাই পারভেজ হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে কদমতলী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলা নম্বর ২৯।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, ডা. দীপু মনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহেনা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাইফুল কবির, হাসান ইমাম, কাজী আলী আজম, মানিক সরকার ও আঁখি সিকদারসহ বিগত সরকারের সাবেক এমপি, মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িত অনেককে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী পারভেজ হোসেন আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২০ মার্চ উপস্থিত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কদমতলী থানাকে অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে সাতদিনের মধ্যে এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এই অভিযোগ এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
সন্ত্রাসী কবির-মুসার বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরও অনেকগুলো থানায় হত্যা মামলা, গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলা, বাড্ডা থানায় দুর্জয় আহমেদ নামে এক ছাত্রকে গুলি করে চোখ নষ্ট করে ফেলা, বিধবা ও এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, অবৈধ উপায়ে বিদেশে অর্থ পাচারসহ অনেকগুলো মামলা চলমান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কদমতলী থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, “আমরা এই দুই আসামিসহ প্রত্যেক আসামিকে ধরার জন্য দেশের সব ধরনের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা গ্রহণ করব। কেউ যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সে ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এলএম/এফএ)

মন্তব্য করুন