মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ‘সিন্ডিকেটে’ জড়িতদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিসিএসএমের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:০২| আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৩৫
অ- অ+

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ‘সিন্ডিকেটের’ সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অভিবাসন বিষয়ে কাজ করা ২৩টি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম)। তারা বলেছে, অতীতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং কেউ নতুনভাবে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত হতে পারবে না।

বিসিএসএমের চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী ও কো-চেয়ার সৈয়দ সাইফুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সাবেক সংসদ সদস্য লোটাস কামালসহ তিনজন সাবেক সংসদ সদস্যকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি জানায়, বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার অনুরোধে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে।

বিসিএসএম এসব খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযোগ পুনঃতদন্ত ও বিচারিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগের অগ্রগতি সম্পর্কেও সাধারণ নাগরিককে জানানো উচিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্থগিত করা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক বছরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর নামে একেকজন কর্মীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত খরচের পাঁচ-ছয় গুণ বেশি অর্থ নেওয়া হয়েছে এবং এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এতে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় দেশের সিন্ডিকেট জড়িত। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এ ধরনের সিন্ডিকেটের ঘটনা ঘটলেও কখনো বিচার হয়নি।

বিসিএসএম আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যদি এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতরা জবাবদিহি ও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রেহাই পায়, তবে একই ধরনের সিন্ডিকেট পুনরায় গড়ে উঠবে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরের সময় শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণের পাশাপাশি সিন্ডিকেট নির্মূলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।

বিসিএসএম পুনরায় জোর দিয়ে বলেছে, অতীতের অনিয়মের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও উন্মুক্তভাবে পরিচালিত হয়, যাতে অভিবাসী শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২৩টি নাগরিক সংগঠনের জোট হচ্ছে—রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ), বাস্তব, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাসুগ–ডায়াসপোরা অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রাইট যশোর, ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক অব অলটারনেটিভ ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (ইনাফি), মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশি অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা), ইমা রিসার্চ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (বিসিডব্লিউডব্লিউএফ), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা), বোয়াফ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন (ডেভকম) লিমিটেড, ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন, চেঞ্জ মেকারস, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (সিসিডিএ), কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)।

(ঢাকাটাইমস/১৩ আগস্ট/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিএনপির দোয়া মাহফিল কর্মসূচি ঘোষণা
নরেন্দ্র মোদিকে প্রতিবাদপত্র দিয়েছে জাগপা
যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করল বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন
এক বছরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প বাতিল, সাশ্রয় ৪২৬ কোটি টাকা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা