মিয়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪৪, আহত সাড়ে ৩ হাজার

শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে কমপক্ষে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। খবর এএফপির
শনিবার বিকালে জান্তা সরকারের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে ৩ হাজার ৪০৮ জন। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর কমপক্ষে ১৩৯ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর সাগাইং, মান্দালাই, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমিকম্পে এসব রাজ্যে বিভিন্ন স্থানে ভবন ধ্বংস, সেতু ভেঙে পড়া এবং রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশটির বৃহত্তম শহর এবং ১৭ লাখেও বেশি মানুষের বাসস্থান মান্দালয়ে। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে শহরটিতে।
এদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং দেশটির গৃহযুদ্ধ ও চলমান অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার কারণে এবং হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাহায্যের জন্য জান্তার বিরল আবেদন
শুক্রবার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য একটি বিরল আবেদন করেছেন, যা দুর্যোগের তীব্রতা নির্দেশ করে। পূর্ববর্তী সামরিক শাসকিরা বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও বিদেশি সাহায্য এড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিডো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয় আশপাশের অঞ্চলে।
ভূমিকম্প এতই শক্তিশালী ছিল যে শত শত মাইল দূরে চীন ও থাইল্যান্ড থেকেই কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন