গাজায় স্কুলে ইসরাইলি নৃশংস বোমা হামলায় নিহত ২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ মে ২০২৫, ০৯:১৯| আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ১১:০৯
অ- অ+

ফিলিস্তিনের গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি নৃশংসতা ও নির্বিচার হামলা যেন থামছেই না। পুরো গাজা এলাকাজুড়ে মানুষের লাশের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। মৃত নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা এলাকা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য ব্যবহৃত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার ফাহমী-আল-জারজাভী স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৬ মে) স্থানীয় সময় ভোরে গাজা শহরের ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে নেতানিয়াহু বাহিনী বোমাবর্ষণ করে। স্কুলটি গাজার বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখা গেছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো যাচাই করতে পারেনি।

স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে দুজন রেডক্রস কর্মী এবং এক সাংবাদিকও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী আবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। উপত্যকাটির একটি স্কুলে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন রেডক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং একাধিক শিশু।

নিহতদের মধ্যে মাত্র ১১ বছর বয়সি গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও রয়েছে।

গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

এদিকে বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এতে মাত্র এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০ জন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত তাঁবুতে হামলায় এক মা ও তার সন্তানরা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলায় আরেক শিশুর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা; ওই শিশুর পরিবারকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আরেকটি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া আলাদা হামলায় নিহত হয়েছে ইয়াকিন হাম্মাদ। সে ১১ বছর বয়সেই গাজার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তারকা ছিল। একইসঙ্গে নিহত হয়েছেন ডাক্তার আলা আমির আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই। একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছর বয়সি আদম এখনো আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ১৯ মাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। উল্লেখ্য, এ হিসাব শুধু শনাক্তকৃত মৃতদের নিয়ে; বহু মৃত্যুর তথ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

এদিকে স্পেনের নেতৃত্বে ২০টি দেশ মাদ্রিদে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ থামানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে। স্পেন বলেছে, এই যুদ্ধের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবিলম্বে অবরোধ ভেঙ্গে খাদ্য গাজায় প্রবেশ করতে দিতে ইসরায়েলের কাছে আহ্বান জানায় তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬ মে/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র, তালিকা প্রকাশ
ঢাকায় সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
মগবাজারে হোটেলে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, কেয়ারটেকার গ্রেপ্তার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ বন্দির সাজা মওকুফ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা