বাংলায় রায় দিতে না পারা
প্রধান বিচারপতির দুঃখ প্রকাশ
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাংলায় দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বুধবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিষদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আগের সভায় বলেছিলাম বাংলায় রায় দিবো। আমি দুঃখিত। বাংলায় রায় দিতে পারি নাই। বিভিন্ন কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুশির খবর হলো হাইকোর্টের বেশ কিছু বিচারক সুন্দর করে বাংলায় রায় দিচ্ছেন। বিচারপতি খায়রুল হক ও এবাদুল হক এটার প্রচলন করেছেন।’
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগে আইন চেয়ে এস কে সিনহা বলেন, ‘আইনমন্ত্রীও আমাকে বলেছেন। গত মিটিংয়ে উনি আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন। বিচারক নিয়োগের জন্য একটা আইন করা যায় কিনা। আমি উনাকে অভিনন্দন জানাই। আমি নিজেও চাই এটা হোক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এটা আছে। আশা করি এটা করতে পারবো।’
আলোচনা সভায় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবি করে এ বিষয়ে আইন করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ আমিও চাই। এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারকের যে স্বল্পতা, কয়েকজন অবসরে গেছেন আরও কয়েকজন যাবেন, এখন যদি নিয়োগ বন্ধ করি সেটা হলে বিচার ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাবে। আপাতত চালিয়ে যাব।’
দ্রুত আদেশ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদেশ বের হওয়ার বিষয়ে বলবো- আমি প্রধান বিচারপতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা সেল গঠন করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। রিসার্চ উইং। এটা কয়েকজন বিচারক ও অফিসার দিয়ে। প্রত্যেকটা জামিনের আদেশ, নিষেধাজ্ঞার আদেশ সাথে সাথে পক্ষ বিপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটা করার জন্যে সেল করেছিলাম। এবং সব প্ল্যান করে মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলাম। এখনো এটা পেন্ডিং।’
তিনি বলেন, ‘রিচার্স উইং যদি হয় তাহলে যে দিন অর্ডার হবে সেদিন আপনারা কম্পিউটারে কপিগুলো পেয়ে যাবেন। আইন মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করলে আশা করি এটা হয়ে যাবে।’
দেশীয় সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌরঙ্গ চন্দ্র করের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আইনজীবী লায়েকুজ্জামান মোল্লা, ড.বশির আহমেদ প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এমএবি/এমআর)