সান্তার পোশাকে নাইটক্লাবে একজন হামলা চালিয়েছে: তুর্কী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ০৯:৩৯
অ- অ+

তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে নাইটক্লাবে হামলাকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু বলেন, এক ব্যক্তি সান্তা ক্লজের পোশাক পড়ে এসে নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে।

তুর্কী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু বলেন, ওই আক্রমণে ৩৯ ব্যক্তি নিহত হন। যার মধ্যে অন্তত ১৬ জন বিদেশি নাগরিক। হামলায় আহত আরও অন্তত ৭০জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হামলার সঙ্গে কমপক্ষে দুজন জড়িত ছিল বলে এর আগে যে খবর বেরিয়েছিল সয়লু তা নাকচ করে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ওই হামলার উদ্দেশে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে সন্দেহের তীর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দিকে।

তুরস্কে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়াকার্স পার্টি (পিকেকে) আগেই জানিয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নয়। তাদের দাবি, নিরপরাধ মানুষদের আমরা কখনোই লক্ষ্যবস্তু বানাই না।

এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি তাকে খুব দ্রুত ধরতে পারবো।’

এদিকে নববর্ষের রাতে নিহতদের সমাহিত করার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে বলে বিবিসি-র প্রতিবেদনে জানানো হয়।

তুরস্কের আনাদোলা বার্তা সংস্থা জানায়, সাত মিনিটের এই হামলায় নিহতের মধ্যে অর্ধেক বেশি বিদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ইসরাইল, ফ্রান্স, তিউনিশিয়া, লেবানন, ভারত, বেলজিয়াম. জর্ডান ও সৌদি আরবের নাগরিক রয়েছেন।

জানা যায়, এই হামলার প্রথমে মৃত্যু হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডের। কারণ তিনি নাইটক্লাবে মূল ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেন, তার দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

সারা বিশ্বের বিভিন্ন নেতা এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন। এর মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। পুতিন অঙ্গীকার করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মস্কো একজন বিশ্বস্ত সাথী হিসেবে তুরস্কের পাশে থাকবে।

রবিবার স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে ইস্তাম্বুলের অর্তাকয় এলাকায় রেইনা নাইট ক্লাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই শহরের গভর্নর জানিয়েছেন, সান্তা ক্লজের পোশাক পরা বন্দুকধারী নাইট ক্লাবে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেন।

ওই হামলার সময় ক্লাবে প্রায় ৭০০ মানুষ ছিল। তারা নববর্ষ উদযাপন করছিল। হামলার পর অনেকেই ভয় আর আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বার্তা সংস্থা দোগান প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে জানায়, হামলাকারীরা আরবী ভাষায় কথা বলছিল।

(ঢাকাটাইমস/২জানুয়ারি/জেএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৮৫ দিন পর সীমান্তে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
যারা পিআর নির্বাচন চাইছে তারা ‘চরের দল’: সালাহউদ্দিন
ইমন-হৃদয়ের অর্ধশতকে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের
মালয়েশিয়ার অভিযোগে জঙ্গি সন্দেহে ঢাকায় গ্রেপ্তার তিনজন কারাগারে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা